ঢাকায় শিশু ধর্ষণকারী কলেজছাত্র হবিগঞ্জে গ্রেপ্তার
রাজধানীর সবুজবাগ-বাসাবো এলাকায় সাত বছরের শিশু ধর্ষণকারী কলেজছাত্র জুবায়ের মিয়াকে হবিগঞ্জ শহরের রাজনগর এলাকা আটক করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় তাকে আটক করে র্যাব-৩ এর একটি দল।
গ্রেপ্তারকৃত জুবায়ের মিয়া (২৫) লাখাই উপজেলার মানপুর গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে।
র্যাব-৩ এর সূত্র জানায়, আটককৃত জুবায়ের মিয়াসহ তার তিন ভাই রাজধানীর সবুজবাগ-বাসাবো এলাকায় একটি সাবলেট বাসায় ভাড়া থাকতো। জুবায়ের সেখানে সিদ্ধেশ্বরী এলাকার একটি ল' কলেজে এলএলবি পড়ছে। গেল ১৬ জানুয়ারি সকালে জুবায়ের পাশের রুমে বসবাসকারী শাহজাহানপুর রেলওয়ে বিভাগের কর্মচারীর শিশু কন্যাকে ফুসলিয়ে নিজের রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিষয়ে শিশুটি পরিবারের কাছে কিছু বলেনি। ঘটনার তিন দিন পর শিশুটির মা বিষয়টি টের পান।
তিনি এ ব্যাপারে শিশুটিকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে ঘটনার কথা স্বীকার করে। এরপর মানসম্মানের ভয়ে কাউকে বিষয়টি জানায়নি শিশুটির মা-বাবা। পরে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে গেল ২২ জানুয়ারি রাতে সবুজবাগ থানায় শিশুটির বাবা মামলা করেন। শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। এদিকে মামলা দায়েরের খবর পেয়ে জুবায়ের হবিগঞ্জে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়টি শিশুটির পরিবার র্যাব-৩ এর কাছে অভিযোগ করে। এর প্রেক্ষিতে র্যাব-৩ মোবাইল ট্র্যাকিংয়ে তার অবস্থা নিশ্চিত হয়ে হবিগঞ্জ শহরের রাজনগর এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে অভিযান শুরু করে।
র্যাব-৩ এর এএসপি আবু জাফর মো. রহমত উল্ল্যাহ ও সহকারী পরিচালক শাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে র্যাবের একটি টিম অভিযান চালায়। অভিযান পরিচালনাকালে জুবায়েরের আত্মীয়-স্বজনের বাসায় তল্লাশি চালানো হয়। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি বাসা থেকে জুবায়েরকে আটক করা হয়।এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৩ এর এএসপি আবু জাফর মো. রহমত উল্ল্যাহ।
তিনি বলেন, অভিযানকালে এলাকার লোকজন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাকে সহজেই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব।
ঢাকার সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম আরটিভি অনলাইনকে জানান, শিশুটির পরিবার বাসাবো এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া নিয়ে থাকেন। গেল ১৬ জানুয়ারি সকালে পাশের রুমে থাকা জুবায়ের নামে এক যুবক ওই শিশুকে ফুসলিয়ে নিজের রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। প্রথমে শিশুটির পরিবার মানসম্মানের ভয়ে কাউকে বিষয়টি বলেননি। পরে নিজেদের ভেতরে আলোচনা করে গেল বুধবার রাতে থানায় মামলা করেন। এরপর আমরা জুবায়েরকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু সে হবিগঞ্জে পালিয়ে আসায় থাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। র্যাব-৩ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
জেবি
মন্তব্য করুন