বাগান ছেড়ে লোকালয়ে ‘লজ্জাবতী’
সিলেটের লালাখাল চা-বাগান থেকে একটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করা হয়েছে। বানরটিকে শ্রীমঙ্গলের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গেল সোমবার সকালে বানরটি হস্তান্তর করা হয়।
জানা যায়, সিলেটের লালাখাল এলাকায় স্থানীয়দের হাতে বানরটি আটক হয়। পরে শ্রীমঙ্গল সোনাছড়া চা-বাগানের মেম্বার সিউধনীর সহযোগিতায় বানরটি উদ্ধার করে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে হস্তান্তর করা হয়।
বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব আরটিভি অনলাইনকে জানান, বানরটি শারীরিকভাবে দুর্বল। দুইদিন ধরে কিছুই খায়নি। সুস্থ হওয়ার পর এটিকে অবমুক্ত করা হবে।
তিনি আরও জানান, লজ্জাবতী বানরের দেহ হালকা বাদামি থেকে ধূসর রঙের ছোট নরম পশম দ্বারা আবৃত। এদের মাথা গোলাকৃতি, বাদামি রঙের বলয়যুক্ত পেঁচার মতো চোখ, পশমের মধ্যে প্রায় ঢেকে থাকা খাটো লেজ এবং মাথার ওপর থেকে পিঠ পর্যন্ত লম্বা বাদামি দাগ দেখতে পাওয়া যায়।
সাধারণত এরা মন্থরগতিসম্পন্ন চতুষ্পদ প্রাণী, কিন্তু প্রয়োজনে দ্রুতগতিতে কোনও কিছু বেয়ে উঠার ক্ষমতা এদের রয়েছে।
লজ্জাবতী বানর অত্যন্ত শক্তভাবে যেকোনো কিছু ধরতে পারে। এরা বৃক্ষবাসী এবং সাধারণত একাকী বাস করে। প্রায় সাত মাস গর্ভধারণের পর সাধারণত একটি বাচ্চা প্রসব করে। লজ্জাবতী বানর পাতা, মুকুল, ফল, সন্ধিপদ প্রাণী এবং পাখির ডিম খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।
জেবি
মন্তব্য করুন