পঞ্চগড়ে বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ
গেল কয়েক দিন ধরে দেশের উত্তরের জেলা হিমালয়ের কন্যা নামে খ্যাত পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে বয়ে চলছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।
শুধু তাই নয় শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে পুরো পঞ্চগড়। কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আবার কখনও থেমে থেমে হিমালয়ের হিম বাতাসের কারণে এ জেলায় আবারও জেঁকে বসেছে শীত। কনকনে মাঘের শীতে জবুথুবু এ জেলার জনজীবন। আর এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এ জেলার শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সাত দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সকাল ছয়টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল সাত দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার সঙ্গে পাহাড়ি হিমেল হাওয়া পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার কারণে এ জেলায় গত কয়েক দিন ধরে আবারও জেঁকে বসেছে শীত। তবে চলতি মৌসুমে বিগত দিনের তুলনায় আজ শীতের তীব্রতা অনেক বেশি যার কারণে অনেকেই সময় মতো কাজে বের হতে পারছেন না। আর যারা কাজের সন্ধানে কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে বাড়ি থেকে বেড়িয়েছেন তাদের অনেকেই কর্মক্ষেত্রে পৌঁছাতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন। অনেকেই আবার কাজ করার সুযোগ পেলেও কনকনে হাড় কাঁপানো শীতে কাজ করতে না পেরে বাড়ি ফিরে এসেছেন।
এদিকে জেলায় দিন দিন শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। শীতজনিত রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। যাদের অনেকেই সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ জেলার চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের। তাদের বোরো ধানের বীজতলা দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার গরিব ও শীতার্তদের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বলে জানা গেছে। ফলে শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করছেন এবং শীত নিবারণের খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছেন। এতে করে অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটছে।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম আরটিভি অনলাইনকে জানান, আজ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেবি
মন্তব্য করুন