• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

নামের সঙ্গে নামে মিল, করাতকল মালিকের বদলে চা দোকানদার জেল হাজতে

গাজীপুর প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ২১ জানুয়ারি ২০২০, ২০:২৭
নামের সঙ্গে নামে মিল, করাতকল মালিকের বদলে চা দোকানদার জেল হাজতে
চা বিক্রেতা রফিকুল

গাজীপুরে নামের সঙ্গে নামের মিল থাকায় করাতকলের মালিকের পরিবর্তে চা বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারপর আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

জানা যায়, পাঁচদিন ধরে চা দোকানি রফিকুল গাজীপুর জেল খানায় রয়েছে। বন বিভাগের মামলায় পরোয়ানাভুক্ত এক আসামির নামের সঙ্গে নামের মিল থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রফিকুল পৌরসভার কেওয়া পশ্চিমখন্ড দারগারচালা নূর মোহাম্মদের ছেলে।

গেল শুক্রবার ১৭ জানুয়ারি বিকেলে গাজীপুরের শ্রীপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক এএসআই কফিল উদ্দিন তাকে চায়ের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করে। মামলার প্রকৃত আসামির জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী নাম রফিকুল ইসলাম, জন্ম ১৬ জানুয়ারি ১৯৮০, বাবার নাম নূর মোহাম্মদ, মায়ের নাম রহিমা খাতুন।
অপরদিকে গ্রেপ্তার হওয়া চা দোকানির জন্ম ২ এপ্রিল ১৯৭৭, বাবার নাম নূর মোহম্মদ এবং মাতার নাম জামিনা খাতুন।

চা বিক্রেতা রফিকুল ইসলামের বাবা নূর মোহাম্মদ জানান, তার ছেলের নামে কখনও কোনও মামলা ছিল না। ছেলের চা বিক্রির টাকা দিয়েই সংসার চলে। কথা নেই, বার্তা নেই শুক্রবার বিকেলে পুলিশ এসে ছেলের নাম ও বাবার নাম জানতে চায়। পরে তার নামে ওয়ারেন্ট থাকার অভিযোগে তুলে নিয়ে যায়। এলাকার লোকজন বারবার বিষয়টি বলার পরও যাচাই-বাছাই ছাড়া তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গাজীপুর শ্রীপুর বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, লাইসেন্সবিহীন করাতকলে গজারি গাছের কাঠ কাটার অভিযোগে ২০১৫ সালের ৮ জুলাই মামলা হয়। মামলা করেন, শ্রীপুর সদর বন বিট অফিসার সহিদুর রহমান। আসামি করা হয় কেওয়া পশ্চিম খণ্ডের বেগুন বাড়ি এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে রফিকুল ইসলামকে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বন) আদালতে এই মামলা হয়। এ মামলায় রফিকুলের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করে গাজীপুর শ্রীপুর থানাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ পাঠানো হয়।

তবে এই মামলার প্রকৃত আসামি নূর মোহাম্মদের ছেলে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি করাতকলের ব্যবসা করি। মামলাটি আমার বিরুদ্ধেই করা হয়েছিল। উচ্চ আদালত থেকে নেওয়া জামিনে আমি বাইরে আছি।’

গাজীপুর শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি লিয়াকত আলী বলেন, ‘মামলাটি আদালতে দায়ের করা। দুই জনের নাম, বাবার নাম ও এলাকা একই। থানার মামলা হলে সে ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার ছিল। যেহেতু মামলাটি বন আদালতের আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে সে প্রকৃত আসামি কি না। তবে আমি যতদূর জানতে পেরেছি গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল ইসলাম চা দোকানদার, অপর রফিকুল ইসলাম করাতকলের মালিক।’

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সাভারে ২ স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে জখম, গ্রেপ্তার ৪
পার্কে ঘুরতে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
স্কুলছাত্রীকে জোর করে চুমু দিয়ে মাদরাসাছাত্র গ্রেপ্তার
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৩১
X
Fresh