দুই দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে আবারো জেঁকে বসেছে শীত । গেল দুই দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ে। হিমালয়ের হিম বাতাসের সঙ্গে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে এ জেলায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তাছাড়া গেলো দুদিন ধরে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ায় এ জেলায় মাত্রাতিরিক্ত শীত অনুভূত হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল নয়টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড বলে আবহাওয়া অফিস নিশ্চিত করেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গেল দুই দিন ধরে অন্যান্য দিনের তুলনায় শেষ শীতের তীব্রতা অনেক বেশি। গেল তিন দিন ধরে আকাশে সূর্যের দেখা মিলছে না। তাছাড়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এ জেলার সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষ। দিনের বেলা যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। কনকনে শীতের দাপটে ঘরের বাইরে প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই বের হচ্ছে না।যারা জীবিকার অন্বেষণে বের হচ্ছে তারাও বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। অন্যদিকে কনকনে হাড়কাঁপানো শীতের কামড়ে দিন দিন হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে পুরো পঞ্চগড় জেলায় দুই লাখ শীতার্ত মানুষদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে মাত্র ৪৫ হাজার। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বলে জানা গেছে। ফলে কনকনে শীতের দাপট থেকে রক্ষার জন্য জেলার পাঁচ উপজেলার শীতার্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা শীতবস্ত্রের অভাবে শীতের উষ্ণতা নেয়ার জন্য বাড়ির আঙ্গিনা কিংবা ফুটপাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গেল দুই দিন ধরে পঞ্চগড়ের শীতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাহাড়ি হিমেল হাওয়া ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে এ জেলায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং শীতের তাপমাত্রা উঠানামা করছে। আরও দুই একদিন শীতের তীব্রতা থাকবে।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম আরটিভি অনলাইনকে জানান, আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
জেবি
মন্তব্য করুন