• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ফের শৈত্যপ্রবাহের কবলে কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রাম (উত্তর) প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ২১ জানুয়ারি ২০২০, ১০:১৯
কুড়িগ্রাম কুয়াশা জনপদ
ঘন কুয়াশায় আবৃত কুড়িগ্রামের জনপদ

ফের শৈত্যপ্রবাহের কবলে কুড়িগ্রাম। গেল কয়েক দিন কুড়িগ্রামে কিছুটা তাপমাত্রা বাড়লেও আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে এ জেলায়।

মঙ্গলবার ভোর ছয়টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে আট দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরে সকাল নয়টার দিকে তা করে আট দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়।

আবহাওয়া অফিস বলছে, মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে জেলা ওপর দিয়ে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, তাপমাত্রা আরও কমে আসতে পারে এবং এই শৈত্যপ্রবাহ তিন থেকে চার দিন থকতে পারে।

এদিকে ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কুড়িগ্রামের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঠাণ্ডায় চরম বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষসহ পশুপাখি। ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠাণ্ডায় বিশেষ কাজ ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না অনেকেই। শীতের কারণে কুড়িগ্রামের নদনদী তীরবর্তী, চরাঞ্চলসহ প্রান্তিক প্রায় ছয় লাখ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।

সকালের ঘন কুয়াশা দুপুর ঝড়তে থাকে বৃষ্টির মতো। ফলে সকাল সকাল কাজে যোগ দেওয়া মানুষেরা বেশি বিপাকে পড়েছেন।

সোনাহাট স্থলবন্দরের পাথর ভাঙা শ্রমিকরা জানান, তাদের সকাল সাতটায় বাড়ি থেকে বেড় হতে হয়। ঘন কুয়াশা ভেদ করে বন্দরে যেতে তাদের অনেক কষ্ট হয়। কুয়াশা আর ঠাণ্ডায় কাজ শুরু করতে তাদের এক ঘণ্টা দেরি হয়। তার পরেও ঠাণ্ডায় হাত-পা জমে যায় এতে পাথর ভাঙতে কষ্ট হয় এবং উৎপাদন কমে যায়। ফলে তাদের আয় কমে যায়।

এদিকে নদীনির্ভর কর্মজীবী এবং মৎস্যজীবীরাও বিপাকে পড়েছে এই শীতে। ঘন কুয়াশার কারণে নৌরুটে নৌকা চালানো কষ্টসাধ্য এবং বিপদজনক। এক ঘণ্টার পথ কুয়াশার কারণে পারি দিতে হচ্ছে ৩-৪ ঘণ্টায়। কখনও দিক ভুল হয়ে চরায় আটকে যাচ্ছে নৌকা। থেমে থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

মৎস্যজীবী এবং কৃষি শ্রমিকরাও বিপাকে পড়েছে এই শীতে। শীতের কারণে চলতি বোরো মৌসুমের কাজ এখনও শুরু হয়নি ফলে বেকার দিন কাটাতে হচ্ছে শ্রমিকদের।

এছাড়া দীর্ঘ শীতে বেশির ভাগ বোরো চারার বৃদ্ধি না হওয়ায় আবাদ শুরু করতে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, চলতি বছর জেলায় এক লাখ ১১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বীজতলা তৈরি করা হয়েছে প্রায় ছয় হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নতুন বার্তা
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১.২ ডিগ্রি, জনজীবনে অস্বস্তি
তাপদাহে গলে গেছে সড়কের পিচ, আটকে যাচ্ছে জুতা
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি
X
Fresh