সড়কের আতঙ্ক নছিমন-করিমন
নড়াইলে নছিমন ও করিমন এখন আতঙ্কের নামে পরিণত হয়েছে। রাস্তায় বেরুলেই ভয় হয় কখন যেন ঘটে যায় দুর্ঘটনা।
নিষিদ্ধঘোষিত ওই দুটি যানবাহন উপজেলার প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে গ্রামের আনাচে-কানাচে মালামাল ও মানুষবোঝাই করে হরহামেশাই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
স্থানীয় কারখানায় তৈরি ওইসব গাড়ির চালকদের বেপরোয়া গতির কারণে প্রায়শই তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারণ যানবাহনের যাত্রীরা।
এক কথায় অবৈধভাবে চলা নছিমন ও করিমনের বেপরোয়া দাপটে অস্থির হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ।
প্রশাসনের সামনেই গড়ে ওঠেছে একাধিক নছিমন-করিমন তৈরির কারখানা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার প্রধান সড়কগুলোসহ পৌর শহরে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দাপটের সঙ্গেই চলছে নিষিদ্ধঘোষিত নছিমন ও করিমন নামের ওইসব যানবাহন। শুধু যাত্রী বহন নয় ইট ও বালুসহ নানা ধরনের মালামাল বোঝাই করে অবাধে চলছে যানবাহনগুলো। যাতে করে এই এলাকার সড়কগুলোতে দুর্ঘটনার পরিমাণও দিন দিন বেড়েই চলেছে। সড়কে লেগেই রয়েছে দুর্ঘটনা । কিন্তু এগুলোর গতি রোধে এগিয়ে আসছে না কেউ। ফলে ওইসব যানবাহন তৈরির কারখানাগুলোতে প্রতিদিনই তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন নছিমন ও করিমন ।
নছিমন ও করিমন তৈরির স্থানীয় কারখানা মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শ্যালো মেশিন দিয়ে তৈরি একটি নছিমন তৈরিতে প্রায় তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা ও করিমন তৈরি করতে প্রায় ৭০ হাজার টাকা ব্যয় হয়ে থাকে। নিষিদ্ধঘোষিত হওয়ার কারণে সরকারি রেজিস্ট্রেশন পাওয়া যায় না। আবার ওই সব গাড়ি চালানোর জন্য কোনও প্রশিক্ষিত চালকের প্রয়োজন হয় না বলে তারা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কারখানা মালিক বলেছেন, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তারা তৈরি করছেন নছিমন-করিমন।
নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ জসিম উদ্দিন পিপিএম বার আরটিভি অনলাইনকে জানান, ওইসব যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণই অবৈধ। আমরা চেষ্টা করছি এগুলো আইনের আওতায় আনা হবে।
জেবি
মন্তব্য করুন