• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দুই ছেলেকে লোহার খাঁচায় বন্দি রেখে নির্যাতন

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ১৭ জানুয়ারি ২০২০, ১৩:১১
ছেলে নির্যাতন বাবা
ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বাবা ও সৎ মায়ের বিরুদ্ধে দুই ভাইকে ঘরের ভেতর লোহার খাঁচায় এক বছর ধরে বন্দি করে রেখে ব্যাপক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। দিনের পর দিন খাবার না দিয়ে মারধর করায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হেমায়েত হোসেন সুমন (৩৫) নামে এক ছেলে মারা যান। এ সময় আরেক ছেলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে অপর ছেলে সাফায়েত হোসেন রাজুকে তালাবদ্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করে। তবে এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করেনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ফতুল্লার দক্ষিণ রসুলপুর এলাকায় হাবিবুল্লাহ ক্যাশিয়ারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হেমায়েত হোসেন সুমন হাবিবুল্লাহর বড় ছেলে এবং উদ্ধারকৃত সাফায়েত হোসেন রাজু দ্বিতীয় ছেলে। এদিকে হাবিবুল্লাহর দাবি তার ওই দুই ছেলে মানুষিক রোগী। তাই তাদের ঘরে বন্দি রেখে চিকিৎসা করানো হচ্ছে।

জানা গেছে, হাবিবুল্লাহর দক্ষিণ রসুলপুর এলাকায় পৃথক তিনটি টিন সেড বিল্ডিং বাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে একটি বাড়িতে তিনি চতুর্থ স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেন। দীর্ঘদিন তিনি কাজী নজরুল কলেজে ক্যাশিয়ার পদে চাকরি করেছেন। সম্প্রতি তিনি সেখান থেকে অবসরে আসেন।

উদ্ধার হওয়া ছেলে রাজুর দাবি তিনি নোয়াখালী জেলার রামনগর কেএমসি হাই স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় তার মা মোহসেনা বেগম মারা যান। এরপর তার লেখাপড়া বাদ দিয়ে তাকে ফতুল্লায় নিয়ে আসে বাবা হাবিবুল্লা। এর কিছুদিন পর তার ছোট খালা কহিনুর বেগমকে বিয়ে করেন বাবা। কহিনুর বেগমও কিছুদিন পর মারা যান।

পরে আরেকজনকে বিয়ে করেন। তিনি বিবাহ বিচ্ছেদ করে চলে যান। তারপর এক বছর পূর্বে হনুফা বেগম নামে আরেকজনকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে তাদের দুই ভাই সুমন ও রাজুর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। দুই ভাইকে দুইটি রুমে এক বছর যাবত তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। কখনো খাবার দেয়া হয় আবার কখনো লাঠি দিয়ে বাবা ও সৎ মা মারধর করে।

রাজু আরও জানান, কয়েকদিন আগে রাতে সুমনকে অনেক মারধর করে। এরপর সে সারারাত কান্নাকাটি করেছে। তখন আমি অনেক চিৎকার করে আশপাশের লোকজনদের ডাকাডাকি করেছি কিন্তু আমার বাবা ও সৎ মায়ের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। আমি ও আমার ভাই পাগল না। আমার বাবা যে সম্পত্তি জমি তার দাবি করেন। সে জমির অর্ধেক মালিক আমার মা মোহসেনা বেগম। এই জমি বাবা ও সৎ মা আত্মসাৎ করার জন্য তাদের দুই ভাইকে পাগল আখ্যা দিয়ে ঘরে আটক রেখে নির্যাতন করতেন। তার বড় ভাই সুমন নির্যাতনেই মারা গেছেন বলে রাজুর দাবি।

ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজলুল হক জানান, নিহতের শরীরের পিছনে পচন ধরেছে। আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহরের জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ছবি তুলতে গিয়ে আগ্নেয়গিরিতে পড়ে পর্যটকের মৃত্যু
মহিষকে পানি খাওয়াতে যাওয়ার পথে কিশোরের মৃত্যু 
নবাবগঞ্জে মাটিচাপায় শ্রমিকের মৃত্যু
জমি দখলের চেষ্টা চেয়ারম্যানের, বাবা-ছেলে জেলহাজতে
X
Fresh