প্রতিশোধ নিতে বাড়িঘর ভেঙে চুরমার করার অভিযোগ
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের চালিতাতলা গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আসলাম গাজী (৪৪) নামের একজন নিহতের ঘটনায় প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গেল বুধবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, আসলাম গাজী হত্যাকাণ্ডের জের ধরে প্রতিপক্ষের বাদশা গাজী ও ইদ্রিস গাজীর নেতৃত্বে তাদের লোকজন বুধবার রাতে বাবুল শেখের দুটি পাকাঘর ভাংচুর করে তচনচ করে করেছে। পাশাপাশি সাতটি গরু ও অনেক হাঁস-মুরগি লুট করে নিয়েছে। ভয়ে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পরিবারের ১৫ সদস্য অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া আট নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আনিসুর রহমানের মুদি দোকান লুটপাট করে তারা। দোকানে প্রায় ৬০ হাজার টাকার মালামাল ছিল।
এদিকে শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাবুল শেখের পাকাবাড়ির ইট, জানালা, দরজা, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য মালামাল ভেঙে চুরমার করা হয়েছে। ঘরে বসবাসের অবস্থা নেই। সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে।
প্রতিবেশীরা জানান, বুধবার রাতে ব্যাপক ভাংচুরের শব্দ শুনে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ভয়ে এগিয়ে আসার সাহস হয়নি তাদের।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গাজীরহাট এলাকার বাদশা ও ইদ্রিস গাজী বলেন, আমরা কোনও বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেনি। নিজেরা ভাংচুর করে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম আরটিভি অনলাইনকে বাড়ি-ঘর ভাংচুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গেল এক জানুয়ারি সকালে খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের চালিতাতলা গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আসলাম গাজী নিহত হন। উভয়পক্ষের অন্তত ১৪ জন আহত হন।
এ ঘটনায় নিহত আসলামের ভাই ইসমাঈল গাজী বাদী হয়ে ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে কালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা জানান, কালিয়ার চালিতাতলা গ্রামের কাদের মোল্যা ও ইদ্রিস গাজী সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্যের লড়াই চলে আসছে। নিহত আসলাম ইদ্রিস গাজীর ছেলে।
জেবি
মন্তব্য করুন