ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক: ৩০০ মিটারেই যতো ভোগান্তি
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের কালিহাতীর এলেঙ্গাতে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই জনদুর্ভোগ বেড়েছে। প্রতিদিন লেগেই থাকছে যানজট। ২০ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগছে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। যার ফলে এ সড়কটি এখন ‘যানজটের মহাসড়কে’ পরিণত হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ সূত্রে জানা যায়, জয়দেবপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেন সড়ক কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শেষ হয়েছে। চার লেনের পর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তের ৩০০ মিটার সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাঁচ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এই সড়ক সম্প্রসারণের কাজ এক মাস আগে শুরু হয়েছে। এরপর থেকে নিয়মিত যানজট হচ্ছে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। এলেঙ্গার এই যানজটের সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে ঘন কুয়াশা। কুয়াশার কারণে রাতে যানবাহন ধীরগতিতে সেতু এলাকায় চলতে হচ্ছে। কুয়াশার কারণে কোনও কোনও সময় সেতুতে টোল আদায় বন্ধ রাখা হচ্ছে। এতে দুই পাশে দীর্ঘ হয় যানবাহনের সারি।
কখনো কখনো যানজট সেতু থেকে ৫-১০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এলেঙ্গার যানজটের পর কিছুদূর এগিয়ে গেলে সেতুর যানজটে পড়তে হচ্ছে। অনেক সময় যানজট সেতু থেকে এলেঙ্গা হয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার চলে আসে।
চালকরা জানান, টাঙ্গাইল শহর বাইপাস পাড় হয়ে কিছুদূর এগিয়েই যানজটে পড়তে হয়। সেই জট ছাড়িয়ে এসে আবার পড়েছেন সেতুর কাছে জটে। স্বাভাবিক অবস্থায় যে পথ পাড়ি দিতে ২০-২৫ মিনিট লাগে, সে পথ পাড় হতে সময় লাগছে দুই ঘণ্টারও বেশি। এ সড়ক এখন যানজটের মহাসড়কে পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) এশরাজুল হক জানান, এলেঙ্গাতে সড়ক সম্প্রসারণ কাজ চলায় এবং কুয়াশার কারণে রাতে যানবাহন চলাচল অসুবিধা হচ্ছে। এর ফলে যানজট বাড়ছে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ এবং থানার পুলিশের ভ্রাম্যমাণ দল কাজ করছে।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিমুল এহসান জানান, এলেঙ্গাতে নির্মাণকাজ চলায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এর নির্মাণকাজ শেষ হলে এলেঙ্গাতে আর যানজটে মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।
এসএস
মন্তব্য করুন