• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সাঁওতাল পল্লীতে হামলা, সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:০৭
হামলা সিআইডি তদন্ত
ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় রংপুর চিনিকলের বাগদাফার্ম আখ খামারের জমি নিয়ে বিরোধে সাঁওতালপল্লীতে হামলার মামলায় পিবিআইয়ের চার্জশিটে বাদীর নারাজি পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পার্থ ভদ্র সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বাদীপক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বাবু সিআইডিকে মামলার অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, গেল চার সেপ্টেম্বর মামলার বাদী থমাস হেমব্রন চার্জশিটের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। আদালত পিটিশন আমলে নিয়ে প্রথমে গেল চার নভেম্বর শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। পরে দ্বিতীয় দফায় ২৩ ডিসেম্বর শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বাবু বলেন, হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল ১১ আসামিকে বাদ দিয়ে পিবিআইয়ের দেওয়া পক্ষপাতিত্বমূলক চার্জশিটের বিরুদ্ধে বাদীর পক্ষে আদালতে নারাজি পিটিশন দেওয়া হয়। শুনানি শেষে অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

হামলার ঘটনা ও মামলার আড়াই বছর পর তদন্ত শেষে গেল ২৮ জুলাই ৯০ জনকে অভিযুক্ত করে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল হাই সরকার।

ওই চার্জশিটে এজাহারভুক্ত আসামি গোবিন্দগঞ্জের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ, সুগার মিলের এমডি আব্দুল আউয়ালসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ছয় নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম এলাকায় আদিবাসী সাঁওতালদের উচ্ছেদের সময় সাঁওতালদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় মিল কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজনের। এ সময় সাঁওতালদের ঘর-বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

এ সময় নিহত হয় শ্যামল হেমব্রম, মঙ্গল মার্ডি ও রমেশ টুডু নামে তিন সাঁওতাল। আহত হন অন্তত ২০ জন। ঘটনার পর সাঁওতাল হত্যার অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর স্বপন মুরমু নামে এক সাওঁতাল অজ্ঞাতনামা ৫০০-৬০০ জনের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

পরে থমাস হেমব্রম নামে অপর এক সাঁওতাল গোবিন্দগঞ্জ আসনের সাবেক সাংসদ আবুল কালাম আজাদ, রংপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল আউয়াল, ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আহমেদ বুলবুলসহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় অপর একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ মামলাটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে গণ্য করে।

পরে বাদী হাইকোর্টে রিট দায়ের করলে হাইকোর্ট থমাস হেমব্রমের অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে তদন্তের নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ২৮ জুলাই ৯০ জনকে অভিযুক্ত করে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।

জেবি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নিল ইইউ
বিচার না হওয়ায় চিকিৎসকদের ওপর হামলা বাড়ছে : ড্যাব
ইসরায়েলে ইরানের হামলা : প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
মাদক কারবারে সংশ্লিষ্ট বদির দুই ভাই, জানালো সিআইডি 
X
Fresh