রাস্তার কাজ ফেলে পালিয়ে গেলেন ঠিকাদার
তিন বছর আগে নড়াইলের লোহাগড়ার ব্রাহ্মণডাঙ্গা ছত্রহাজারী রাস্তার হান্দলা, ব্রাহ্মণডাঙ্গা অংশের আড়াই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের জন্য খনন করে পালিয়ে গেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
ফলে রাস্তায় তৈরি হয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা। কোনও ধরনের যানবাহন চলাচল করতে না পারায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ অঞ্চলের জনগণ।
আড়াই কিলোমিটার রাস্তার জন্য ঘুরতে হচ্ছে ২০ কিলোমিটার রাস্তা।
নড়াইল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আরটিভি অনলাইনকে জানান, জনগণের ভোগান্তি লাঘবে নতুন টেন্ডারের মাধ্যমে খুব দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করা হবে।
নড়াইল জেলার উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের মানুষের জেলা শহরের সঙ্গে যাতায়াতের প্রধান ও সহজ পথ হলো ছত্রহাজারি-ব্রাহ্মণডাংগা রাস্তা। নড়াইল জেলারউত্তর-পূর্ব অঞ্চলের মানুষের জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান ও সহজ মাধ্যম হলো ছত্রহাজারী-ব্রাহ্মণডাংগা রাস্তাটি। নড়াইল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় তিন বছর আগে ১৭ সালের শেষের দিকে রাস্তাটির হান্দলা, ব্রাহ্মণডাংগা অংশের আড়াই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের জন্য খনন করে।
এরপর আর কোনও কাজ না করে পালিয়ে যায় মেসার্স আকরামুজ্জামান নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। ফলে দীর্ঘ দিন ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষের। মাত্র আড়াই কিলোমিটার রাস্তার জন্য ২০ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হচ্ছে জেলা শহরে। কোনও ধরনের যানবাহন চলাচল করতে না পারায় একমাত্র পায়ে হেঁটেই যেতে হচ্ছে গন্তব্যে। রোগী, নারী-শিশু,ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারণ জনগণ পড়ছেন চরম বিপাকে। দীর্ঘদিন ধরে চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় স্বাভাবিক জীবন-যাপন হয়ে ওঠছে বিপর্যস্ত। মাঠের ফসল আনা, হাট-বাজারসহ নানা প্রত্যাহিক কাজে সৃষ্টি হচ্ছে বিড়ম্বনা।
এ ব্যাপারে নড়াইল এল.জি.ই.ডির (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল) নির্বাহী প্রকৌশলী বিধান চন্দ্র সোমদ্দার জানান, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি মেরামত করে মানুষের ভোগান্তি আর কষ্ট লাঘব করা হবে।
জেবি
মন্তব্য করুন