সিরাজগঞ্জে মেয়াদোত্তীর্ণ ১৩টি বেইলি সেতু
সিরাজগঞ্জ জেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ-নদী খালের ওপর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করতে বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকটি স্টিলের বেইলি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
কালের বিবর্তনে জেলায় মানুষ যেমন বেড়েছে তেমনই মানুষের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে জেলার সবকটি সড়কেই ভারি যানবাহন চলাচল করতে শুরু করেছে। যা কিনা সেতুগুলোর ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত। এ কারণে এসব সেতুগুলো বর্তমানে অনেক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সেইসঙ্গে দীর্ঘদিন এই সেতুগুলোতে যানবাহন চলাচল করায় সেতুর পাটাতনগুলি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে বৃষ্টির পানি ও শীতের কুয়াসা ভেজা অবস্থায় যানবাহনের চাকা পিছলে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা।
জেলা সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শুধুমাত্র সিরাজগঞ্জ জেলাতেই ১৩টি বেইলি সেতু রয়েছে। এ সেতুগুলোর মোট দৈর্ঘ্য (৯২০.৮ মিটার ) প্রায় এক কিলোমিটার। সবগুলো বেইলি সেতুই ব্যবহারের সময়সীমা (মেয়াদোত্তীর্ণ) অতিক্রম করেছে। সেতুগুলো হচ্ছে সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জ সড়কের চন্দ্রকোনা সেতু, হাজী সেতু, বহুলি সেতু, ভেড়াদহ সেতু, হাসিলদহ সেতু, ভুইয়াগাঁতী নিমগাছি-তাড়াশ সড়কে দেওভোগ সেতু, নলকা সিরাজগঞ্জ সড়কে কুটির চর সেতু, চণ্ডিডদাসগাঁতী সেতু, সিরাজগঞ্জ-কড্ডা-সমেশপুর সড়কে হুরাসাগর সেতু, কড্ডা-কামারখন্দ-বেলকুচি (তামাই) সড়কে কাজিপুরা হায়দারপুর সেতু, এনায়েতপুর–শাহজাদপুর সড়কে রুপনাই সেতু ও বেতকান্দি সেতু।
সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় এসব সেতু এলাকার বেশ কজন জনসাধারণের সঙ্গে। তারাও জানান এই সেতুগুলোকে নিয়ে নানা ঝুঁকি ও সমস্যার কথা । জেলার কামারকন্দ উপজেলার কাজিপুরা গ্রামের জুয়েল হোসেন জানান, সড়ক থেকে কাজিপুরা হায়দারপুর বেইলি সেতুটি অনেক উঁচু। সেইসঙ্গে সেতুটিতে নির্মাণের সময় থেকেই পাটাতন পিছলে থাকায় মাঝে-মধ্যেই এখানে ঘটে দুর্ঘটনা। এখন মাঝে মধ্যেই এই সেতু দিয়ে চলে ভারি যানবাহন যা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ বলেও জানান তিনি।