• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

চুরিতে বাধা দিলেই নারীদের ধর্ষণ করতেন এই সিরিয়াল কিলার

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ২৯ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:২০
হত্যা ধর্ষণ নারী
সিরিয়াল কিলার বাবু শেখ

টাঙ্গাইলের সখীপুরে পাঁচ মাস পর বৃদ্ধা সমেলা ভানু (৫৭) হত্যার রহস্যের উন্মোচন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যাকারী বাবু শেখকে গ্রেপ্তারের পরে পুলিশ জানতে পারে সে বিভিন্ন জেলায় আরও আটটি খুন করেছে। পরে গেল বুধবার বাবু শেখ টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সমেলা ভানুসহ সারা দেশে নয়জন নারীকে খুন করার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। বাবু শেখ ওরফে কালু নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার হরিশপুর গ্রামের জাহের আলীর ছেলে।

তার আগে নাটোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল নওগাঁ জেলার বাসিন্দা বাবু শেখ (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। পরে গেল ২০ নভেম্বর নাটোর আদালতে দেওয়া এক জবানবন্দিতে বাবু শেখ টাঙ্গাইলের সখীপুরের সমেলা ভানু হত্যার দায় স্বীকার করেন। বাবু শেখের নেতৃত্বে একটি খুনি চক্র টাঙ্গাইলের সখীপুর ও মির্জাপুরে দুজন বৃদ্ধাসহ আরও দুই জেলায় নয়জন নারীকে খুন করেন। সখীপুর থানা পুলিশ নাটোর থেকে আসামি বাবু শেখকে তিন দিনের রিমান্ডে এনে ২৭ নভেম্বর বুধবার টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।

এ ব্যাপারে সখীপুর থানার ওসি (তদন্ত) এএইচ এম লুৎফুল কবির বলেন, গেল ৯ জুলাই রাতে উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের আমড়াতৈল গ্রামের মৃত বাবর আলীর স্ত্রী সমেলা ভানু খুন হন। সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে শ্বাসরোধ করে ওই বৃদ্ধাকে হত্যা করা হয়। বাবু শেখ ও সহযোগী ডাবু মিলে ওই বৃদ্ধাকে খুন করে একটি স্বর্ণের চেইন ও পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে যায়। গেল ১০ জুলাই সমেলার ছেলে হোসেন আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেন। বাবু শেখ সখীপুরের সমেলা ভানু হত্যাকাণ্ডের দুই মাস পর গেল ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে মির্জাপুর উপজেলার হরতকীতলা গ্রামের কাঞ্চু খানের স্ত্রী রুপভানু বেগমকেও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। সেখান থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে পালান তিনি।

বাবু শেখ পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, নয়টি খুনের মধ্যে দুটি খুনে নওগাঁর গোলাম রসুল ওরফে ডাবুকে সহযোগী হিসেবে নিয়েছিলেন তিনি। টাঙ্গাইলের এ দুটি খুনই ঘরের সিঁধ কেটে ও শ্বাসরোধ করে করা হয়েছে।