• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

এমপি লিটন হত্যা মামলার রায় কাল, দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চান স্বজনরা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:৪৪
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের ক্ষমতাসীন দলের সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলার রায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার।
গেল ১৮ ও ১৯ নভেম্বর দুইদিন রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষ হলে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিক ২৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রায়ের দিন ধার্য করেন।
রায়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ সাজা আশা করছেন এমপি লিটনের স্বজনরা।
মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের স্ত্রী খুরশিদ জাহান স্মৃতি বলেন, লিটনকে হত্যায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি কাদের খাঁনসহ অন্য আসামিদের ফাঁসির আদেশ চাই। আদালতের কাছে এ মামলায় ন্যায়বিচার আশা করছি।
মামলার বাদী ও এমপি লিটনের বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী বলেন, পরিকল্পিত এ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তরা সবাই তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। আদালত সবার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করেই রায় দেবেন বলে আশা করছি।
আদালতে সাক্ষী ও হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী সাবেক এমপি কর্নেল (অব:) আবদুল কাদের খাঁনসহ অভিযুক্ত ৮ আসামির মধ্যে ৬ জনের উপস্থিতিতে যুক্তিতর্ক শেষ হয়।
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শফিক গণমাধ্যকর্মীদের বলেন, ‘মামলার এজাহার, আসামি-সাক্ষীদের স্বীকারোক্তি জবানবন্দি, অস্ত্র উদ্ধারসহ নানান দিক আলোকপাত করে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে। যুক্তিতর্ক শেষে ২৮ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য হয়।
চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় আদালতে অভিযুক্তদের ফাঁসিসহ সব্বোর্চ শাস্তি পাবেন বলে আশা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ বলেন, ‘এমপি লিটনকে যেভাবে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে ঠিক তেমনি আসামি কাদের খাঁনকে এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। হত্যা ঘটনার সময় কাদের খাঁন দেশের বাইরে ছিলেন। মামলার সঠিক তদন্ত ও আদালত সঠিক বিচার করলে আসামি নির্দোষ প্রমাণিত হবে।
আলোচিত এ মামলা ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল প্রথম দফায় আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। বাদী নিহতের ছোট বোন ফাহমিদা কাকুলী বুলবুল, নিহতের স্ত্রী খুরশিদ জাহান স্মৃতি ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ এ পর্যন্ত ৫৯ জন সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণ করেছে আদালত। গত ৩১ অক্টোবর মামলার সাক্ষী গ্রহণ কার্যক্রম শেষ হয়।
২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালতে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। পরে পর্যায়ক্রমে কারাগারে থাকা আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন শুনানি হয় আদালতে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন লিটনের বড় বোন ফাহমিদা কাকুলী বুলবুল। তদন্ত শেষে কাদের খাঁনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর থেকে কাদের খাঁন গাইবান্ধা জেলা কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া আসামি কাদের খাঁনের পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়ি চালক হান্নান, ভাতিজা মেহেদি, শাহীন ও রানা জেলা কারাগারে রয়েছেন।
এছাড়া লিটন হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া অস্ত্র আইন মামলায় গত ১১ এপ্রিল আবদুল কাদের খাঁনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। লিটন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তিনটি অস্ত্রের মধ্যে একটি অস্ত্র কাদের খাঁন নিজে থানায় জমা দেন। একটি অস্ত্র ৬ রাউন্ড গুলিসহ তার নিজ বাড়ির উঠান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে অপর অস্ত্রটির সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।
এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh