• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

এক দুর্ঘটনায় মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেল সব আনন্দ

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ১১:১৯
এক দুর্ঘটনায় মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেল সব আনন্দ
এক দুর্ঘটনায় মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেল সব আনন্দ

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার যাত্রীবাহী বাস ও বরের বহরের মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) একই পরিবারের ছয় জনসহ নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। অথচ এই দুর্ঘটনার আগ মুহূর্তেও লৌহজংয়ের কনকসার গ্রামের বেপারী বাড়িতে চলছিল বিয়ের আনন্দ। কাবিনের জন্য বরযাত্রী নিয়ে দু’টি মাইক্রোবাস যাচ্ছিল কনের বাড়িতে। কিন্তু, পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় শেষ হয়ে যায় সব আনন্দ।

এ ঘটনার পর শোকাচ্ছন্ন মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের কনকসার গ্রাম। মরদেহ দেখতে গ্রামবাসীরা ভিড় করছেন শোকাস্তব্ধ পরিবারের বাড়িতে। স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে বাতাস।

স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুর পৌনে একটার দিকে কাবিনের জন্য কনের বাড়িতে বর রুবেল ও তার স্বজনরা দু’টি মাইক্রোবাসে যাত্রা শুরু করেন। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মাইক্রোতে যাত্রী ছিলেন মোট ১২ জন।

এদিকে নিহতদের আজ সকাল ১০টার দিকে লৌহজং কনকসার নিজ বাড়ির এলাকার মসজিদে জানাজা শেষে হয়েছে। উপজেলার সাতঘড়িয়া পাঞ্চাতি কবরস্থানে দাফন করা হবে তাদের।

নিহতরা হলেন- বর রুবেলের বাবা আব্দুর রশিদ বেপারী (৭০), বোন লিজা আক্তার (২৩), ভাগনি তাবাসসুম (৪), বড় ভাই সোহেলের স্ত্রী (ভাবি) রুনা খান (২৩), ভাইয়ের ছেলে (ভাতিজা) তাহসান হাবিব (৪) ও বড় ভাই সোহেলের শ্যালিকা (বিয়ান) রেনু আক্তার(১২)।

অপর নিহতরা হলেন পাশের বাড়ির প্রতিবেশী কেরামত বেপারী (৭০) ও মফিজুল মোল্লা (৬৫) এবং মাইক্রোবাস চালক বিল্লাল (৪০)।

জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের চালকসহ ৯ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬ জন দুর্ঘটনাস্থলে, দুই জন ষোলঘর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও একজন ঢাকায় মারা যান। গুরুতর আহত আছে আরও তিনজন। প্রাথমিক ১০ জনের মৃত্যুর কথা বলা হলেও পরে তা কমে ৯ জন নিশ্চিত হওয়া গেছে।

---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: এক নারীকে স্ত্রী দাবি করে দুই যুবকের মারামারি
---------------------------------------------------------------

এছাড়া আহত আরও ১০ জনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসমা শাহীনকে প্রধান করে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাতদিনের মধ্য রিপোর্ট দেয়ার কথা রয়েছে।

এছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে দাফন ও যাতায়াত ভাড়া বাবদ ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জাতীয় পতাকার নকশাকারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে নেমে আর ফিরল না সোহান
পঞ্চগড়ে গাছের ডালের আঘাতে শ্রমিকের মৃত্যু
নবাবগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
X
Fresh