ঘরে দুই স্ত্রী রেখে পরকীয়ায় আসক্ত ইউপি সদস্যকে গণপিটুনি
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সহদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইয়াকুব আলী পরকীয়ার জের ধরে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন। তিনি ওই ইউনিয়নের আকুয়া গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে এবং সহদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের আট নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। গেল বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, আকুয়া গ্রামের জনৈক মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রীর (৪০) সঙ্গে ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলীর দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া চলছিল। ঘটনাটি জানাজানি হলে প্রবাসীর ভাইয়েরা বুধবার রাতে বৈঠকে বসে বিষয়টি সমাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলী লোহার রড নিয়ে ওই বৈঠকে হামলা করে। হামলায় এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। পরে বৈঠকের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ইয়াকুব আলীকে গণধোলাই দেয়।
ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলী বর্তমানে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে দুই দিন আটকে রেখে নেশা খাইয়ে ধর্ষণ
---------------------------------------------------------------
ইউপি সদস্যের প্রতিবেশী আলাউদ্দিন, মিন্টু মিয়া, নজরুল, তুফালসহ অনেকেই জানান, ইয়াকুব আলীর দুইজন স্ত্রী বর্তমানে থাকা অবস্থায়ও নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড করায় তারা ক্ষুব্ধ। নৈতিক স্থখলের কারণে ইয়াকুব আলীকে ইউপি সদস্যের পদ থেকে অপসারণের দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে সহদেবপুর ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
সহদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বালা আরটিভি অনলাইনকে জানান, পরকীয়ার বিষয়টি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। কিন্তু ইউপি সদস্যকে গণধোলাই না দিয়ে পুলিশে দেওয়া উচিত ছিল।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, ইউপি সদস্যকে গণধোলাইয়ের বিষয়টি অবগত নই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেবি
মন্তব্য করুন