নাটোরে শীতকালীন সবজির দাম ‘আকাশছোঁয়া’
নাটোরের বাজারে শীতকালীন সবজিতে হঠাৎ করে দাম বেড়েছে। এতে নিম্ন-মধ্য আয়ের মানুষেরা বিপাকে পড়েছে। চাহিদার তুলনায় কম পণ্য কিনে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। এমনকি কয়েক কিলোমিটার দূরত্বে বাজার ভেদে সবজির দামেও বিস্তর ফারাক রয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) নাটোরের পাঁচটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে শীতকালীন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। ফলে শীতকালীন সবজি ফুলকপি, মূলা, শসা, লাউ, বেগুন ও পটোলের দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৮০ টাকা পর্যযন্ত বেড়েছে। এ বিষয়ে বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় মৌসুমের শুরুতেই সবজির দাম বেড়েছে।
অন্যদিকে আগে থেকেই পেঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া। বর্তমানে নাটোরের বাজারগুলোতে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম মান ভেদে ১৭০ টাকা থেকে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, পেঁয়াজের দাম কমা শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে রেলস্টেশন কাঁচাবাজারের আড়তদার মেজবা ঊন নবী বলেন, নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা উপজেলার হালতি বিল এলাকায় পেঁয়াজের চাষ বেশি হয়। কিন্তু এ বছর বৃষ্টির কারণে চাষিরা পেঁয়াজ আবাদ করেছেন দেরিতে। তাই বাজারে এখনো নতুন পেঁয়াজ আসেনি। তবে দুই থেকে চার দিনের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ উঠতে পারে বলেও জানান তিনি।
শীতকালীন অন্যান্য সবজির মধ্যে নাটোরের বাজারে নতুন আলু এসেছে। তবে দামে বেশি। নতুন লাল আলু কেজিপ্রতি ১০০ টাকা ও সাদা আলু ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যেখানে পুরান আলু কেজিপ্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে শিম ও ফুলকপি। মূলার দাম প্রতি কেজি ৪০ টাকা। বেগুন ৪০ থেকে ৬০ টাকা। শসা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা।
স্টেশন কাঁচাবাজার থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরের নিচাবাজারে সব সবজি কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারের সবচেয়ে বড় সবজি দোকানি পচু মিয়া বলেন, স্টেশন বাজারে পাইকারি বিক্রি হয়।
নিচাবাজারে খুচরা বিক্রি হওয়ায় দামও কিছুটা বেশি। নাটোরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড কাঁচাবাজার, দত্তপাড়া বাজার ও তেবাড়িয়া কাঁচাবাজার ঘুরেও একই চিত্র দেখা গেছে। অন্যদিকে জেলার সবচেয়ে বড় পেঁয়াজের বাজার নলডাঙ্গা হাটে পাতাসহ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।
সবজির অতিরিক্ত দামের বিষয়ে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক শামশুল ইসলাম বলেন, সবজির চড়া দাম নিয়ে কেউ অভিযোগ করেননি। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসএস
মন্তব্য করুন