• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

ধর্ষককে বাঁচাতে কলেজছাত্রীকে দেহ ব্যবসায়ী বানালেন চেয়ারম্যান

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ১২:৪৫
প্রতিবেদন দেহ ব্যবসা
ধুবড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের দেয়া প্রতিবেদন

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ধর্ষণের বিচার চাওয়ায় প্রভাবশালী মহলের চাপে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এক কলেজছাত্রীকে দেহ ব্যবসায়ী বলে প্রতিবেদন দিয়েছেন।

উপজেলার ধুবড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধুবড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান তার পরিষদের প্যাডে কলেজ ছাত্রীকে দেহ ব্যবসায়ী ও তার নিরহ কৃষক বাবাকে মাদক ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে গেল পাঁচ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এদিকে এ ঘটনার পর কলেজছাত্রী লোকলজ্জার ভয়ে ১২ দিন ধরে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। বন্ধ হয়ে গেছে তার কলেজে যাওয়া। ধর্ষণের সঠিক বিচার পাবে কিনা সে বিষয় নিয়েও উদ্বিগ্ন পরিবারটি।

জানা যায়, উপজেলার ধুবড়িয়া গ্রামের কৃষকের কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে (১৭) প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো সারুটিয়াগাজি গ্রামের জয়ধর শেখের ছেলে জুয়েল রানা। বিয়ের প্রস্তাবও দেয় কিন্তু ছেলের স্বভাব চরিত্র ভালো না থাকার কারণে মেয়ের বাবা সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে জুয়েল রানা। জুয়েল রানা ২০১৮ সকালে ১২ জুলাই সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ধুবরিয়া বাচ্চু মিয়ার ব্রিজের সামনে থেকে বন্ধুদের সহযোগিতা নিয়ে ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর জুয়েল রানা কলেজছাত্রীকে তার আত্মীয় বাড়িতে তিনদিন আটক রাখে। ওই ছাত্রী কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে তার বাবা-মা কে ঘটনাটি খুলে বলে। পরে ধুবড়িয়া গ্রামের মাতব্বদের ধর্ষণের বিষয়টি অবগত করেন।

ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য প্রভাবশালী মাতব্বররা বিভিন্ন তালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করে আসেন। ফলে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ২০১৮ সালের এক নভেম্বর টাঙ্গাইল আদালতে পাঁচজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। আসামিরা হলেন সারুটিয়াগাজি গ্রামের জয়ধর শেখের ছেলে জুয়েল রানা (২২), ধুবড়িয়া গ্রামের হায়েদ আলীর ছেলে মো. শিপন (২৬), মো. রিপন (২৩), উফাজ (৪২) ও একই গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মো. রিয়াজ মিয়া (২১)।