মুফতী সালাহউদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার
১২ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:৩৪
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০১৯, ২২:২৬
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০১৯, ২২:২৬
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’
সামনে ফাইনাল পরীক্ষা, তাই খোলা আকাশের নিচেই ক্লাস

পটুয়াখালীতে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা
আরো পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা পেছানো হয়েছে
--------------------------------------------------------------- বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মো. রাহাত বললো, ‘আমাদের স্কুলের টিনসেটের এ ভবনটি এই নিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে তিন বার বিধ্বস্ত হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি এই ভবনটি পাকা করে দেয়া হোক’। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সভাপতি মো. আইয়ুব আলী মাতব্বর ও প্রধান শিক্ষক মো. আ. লতিফ জানান, এ ইউনিয়নের ৬টি গ্রামের মাধ্যমিক স্তরের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এই শারিকখালী বিদ্যালয়টি। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে ৩৪৫ জন ছাত্রছাত্রী অধ্যয়নরত রয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রী রয়েছে ১৭৫ জন এবং ছাত্র রয়েছে ১৭০ জন। লেখাপড়ার দিক থেকেও এ বিদ্যালয়টি অনেক এগিয়ে রয়েছে। ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাস করেছে। কিন্তু বুলবুলের আঘাতে টিনসেটের ভবনটি দুমড়ে-মুচড়ে পড়ায় ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এ মাসের ২৭ তারিখ স্কুল ফাইনাল পরীক্ষা এবং এসএসসি পরীক্ষাও ঘনিয়ে এসেছে। এ অবস্থায় ছাত্রছাত্রীরা রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজেও খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে। তাই এ স্কুলে দ্রুত একটি পাকা ভবন নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছি। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়-ক্ষতির পূর্ণ তালিকা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে সদর উপজেলায় বিধ্বস্ত শারিকখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিকে পাঁচ বান টিন এবং নগদ ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পূর্ণ তালিকা পেলে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে পাঠিয়ে দেয়া হবে। এসএস