ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’: ভোলায় বিধ্বস্ত অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়ি, আহত ১৫
‘বুলবুল’র আঘাতে ভোলার লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলায় অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বুলবুল’র আঘাতে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, ‘বুলবুল’র প্রভাবে গাছ-পালা উপড়ে পরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অধিকাংশ এলাকায়। এছাড়া দমকা হাওয়াসহ মুষলধারে বৃষ্টিতে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘর-বাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান রুমি জানান, গজারিয়া ও লর্ডহাডিঞ্জ এর পেয়ারীমোহন গ্রামে ঝড়ের কবলে পড়ে অন্তত ৩০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ শক্তি হারানোর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব সমুদ্রবন্দর থেকে মহাবিপদ সংকেত প্রত্যাহার করে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৩০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও সামান্য উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে আজ (১০ নভেম্বর) সকাল ৬টায় বাগেরহাট, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলে গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমশ দুর্বল হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বায়ুচাপের তারতাম্যের আধিক্য বিরাজ করছে।
গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা, ঢাকা, সিলেট ও ময়মনসিংহ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিসহ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে, উপকূলের ১৪টি জেলায় প্রস্তুত ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে থাকা প্রায় ২০ লাখ মানুষকে নিয়ে আসা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে।
সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রধানমন্ত্রীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় ও ত্রাণ তৎপরতা মনিটরিং সেল সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে বুলবুল মোকাবেলায়। নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজ এবং বিমানবাহিনীর সব এয়ারক্রাফ্ট দুর্যোগ পরবর্তী যেকোনো সেবার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এসএস
মন্তব্য করুন