• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভূমিধসের আতঙ্ক

টেকনাফ প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ১৪:০৮
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভূমিধসের আতঙ্ক
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভূমিধসের আতঙ্ক ।। ফাইল ছবি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাব নিয়ে কক্সবাজারের উপকূলে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে সংকেত বাড়তে থাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল। বুলবুলের তীব্রতা শুরু হলে উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে ভূমিধস ও ঝুপড়ি ঘরগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশাপাশি জেলা শহরসহ পাহাড়ি অন্যান্য এলাকাতেও পাহাড় ধ্বসের শঙ্কার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি রোধে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।

গতকাল শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আয়োজিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এসব কথা জানানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, পূর্বের অভিজ্ঞতায় বলা যায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তীব্রতা শুরু হলে আশ্রিত ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার আবাসস্থলে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটতে পারে। উপড়ে যেতে পারে ঝুপড়িগুলো। সেসব মোকাবেলায় ক্যাম্পে কাজ করা আইএনজি, এনজিও এবং জিওগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারী ভলান্টিয়ার নিজ নিজ ভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে। তাদের সবাইকে সমন্বয় করতে প্রস্তুতি নিয়ে আছে সেনাবাহিনীর বিশেষ টিম।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, সামগ্রিকভাবে জেলার উপকূল এবং আশপাশের এলাকার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলা এবং ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সহযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নেয়া রয়েছে। জেলা দুর্যোগ ফান্ডে ২ লাখ ৬৩ হাজার নগদ টাকা, ২০৬ মেট্রিকটন চাল, ৩৪৬ বান ঢেউটিন, ২৫০০ পিস কম্বল এবং ৩৭৬ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে।

জানা গেছে, কক্সবাজারের ৮ উপজেলার মাঝে সিংহভাগই উপকূলীয় হওয়ায় এসব মজুদ অপ্রতুল। তাই জরুরি ভিত্তিতে ১০ লাখ নগদ টাকা, ২শ’ মেট্রিকটন চাউল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বলেন, জেলার ৮ উপজেলায় ৫৩৮টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বহুতল ভবনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও। উপকূল হিসেবে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, সদরের পোকখালী, চৌফলদন্ডী, খরুশকুল, টেকনাফের সাবরাং, শাহপরীরদ্বীপ ও সেন্টমার্টিনে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।

সভায় জানানো হয়, সিপিসির ৬ হাজার ৪০০ স্বেচ্ছাসেবক ৪৩০টি ইউনিটের মাধ্যমে প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিটি ইউনিটে থাকা মেগাফোন দিয়ে সংকেত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় তা প্রচার করে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। প্রস্তুত রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ৮০০ ভলান্টিয়ারও। প্রস্তুত রাখা হয়েছে দমকল বাহিনী, পর্যাপ্ত যানবাহন, আনসার ভিডিপি ও স্থানীয় প্রশাসন। উপজেলায় ইউএনওদের সতর্ক নজর রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

০১৭১৫-৫৬০৬৮৮ নাম্বার সচল রেখে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে একটি কন্ট্রোল রোম চালু করা হয়েছে। দুর্যোগ সংক্রান্ত সকল তথ্য এখানে সরবরাহ ও পাওয়া যাবে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh