• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রাজবাড়ীর কুমড়া যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে

এম,মনিরুজ্জামান, রাজবাড়ী, আরটিভি অনলাইন

  ০৮ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:০৫
মিষ্টি কুমড়া জামালপুর বালিয়াকান্দি
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর বাজারের আড়তে জমা করে রাখা মিষ্টি কুমড়া

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর বাজারে প্রতিদিন জেলা ও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে আমদানি হয় প্রায় আড়াই থেকে তিনশ টন মিষ্টি কুমড়া। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে ১২ থেকে ১৫টি ট্রাকে রপ্তানি হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

মরিচসহ অন্যান্য সবজি ক্ষেতের মধ্যে সামান্য খরচেই চাষ হয় এ কুমাড়ার। এ বছর ফলন ভালো হলেও মৌসুমের শুরুতে ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং বর্তমানে ১৪ থেকে ১৯ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে প্রকারভেদে চার থেকে সাড়ে ৮শ’ টাকা মণ হিসেবে বাজারে কুমড়া বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিদিন রাজবাড়ীর এ বাজারে বালিয়াকান্দি ও পার্শ্ববর্তী জেলা ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত শত শত মণ কুমড়া আমদানি করেন। সেসব কুমড়া বাজারের প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন আরতদার বুঝে নেন এবং পাইকারি দরে স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন।পরবর্তীতে আরতদাররা তাদের খরচ রেখে কৃষকদের প্রাপ্য টাকা বুঝিয়ে দেন। ফলে কৃষকদের হয়রানি হতে হচ্ছে না বলে মনে করছেন আরতদাররা এবং কৃষকরা পাচ্ছেন ন্যায্য মূল্য।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর বাজারের বিভিন্ন স্থানে ট্রাক, ভ্যান ও বস্তাভর্তি এবং মাটিতে বোঝাই করা শত শত মণ মিষ্টি কুমড়া। কৃষকরা ভ্যানভর্তি করে কুমড়া এনে আরতদারদের কাছে দিচ্ছেন বিক্রির জন্য। পরবর্তীতে সেই কুমড়া আরতদাররা পাইকারি দরে বিক্রি করছেন ব্যাপারীদের কাছে। আর ব্যাপারীরা সেই কুমড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য ট্রাক লোড করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গেল বছরের খরিপ মৌসুমে ২৫০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছিল। আর এ বছর রবি মৌসুমে ৩৬৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে মিষ্টি কুমড়ার।

কৃষকরা জানান, বিভিন্ন ধরনের ক্ষেতের মধ্যে সামান্য খরচে তারা কুমাড়ার চাষ করলেও খরচের তুলনায় এ বছর দাম পাচ্ছেন ভালো।

এছাড়া আরতদারদের মাধ্যমে কুমড়া বিক্রি করায় বিক্রির ঝামেলাও কম।

জেলার মধ্যে জামালপুর বাজার সবচেয়ে বড় কমুড়ার বাজার। যে কারণে চাষিরা তাদের কুমড়া বিক্রির জন্য এ বাজারে নিয়ে আসেন।

আরতদার ভবতোষ দাস বলেন, কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই কৃষকদের থেকে নেওয়া কুমড়া তারা ব্যবসায়ীদের কাছে প্রকার ভেদে বিক্রি করছেন। পরবর্তীতে তাদের খরচ রেখে কৃষকদের টাকা বুঝিয়ে দিচ্ছেন। সামন্য খরচে কৃষকরা অন্যান্য সবজির মধ্যে কুমড়া চাষ করেন। এ বছর ভাল ফলন এবং দামও ভালো পাচ্ছেন। আসলে কৃষকরা কুমড়ায় এ বছর অনেক লাভবান।

রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ফজলুর রহমান আরটিভি অনলাইনকে জানান, বালিয়াকান্দির জামালপুরসহ বিভিন্ন স্থানের উঁচু জমিতে মরিচের পাশাপাশি ব্যাপক হারে কুমড়ার চাষ করেন কৃষকরা। এ কুমড়া চাষ করে তারা বেশ লাভবান। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় কমুড়ার বাজার জামালপুর। যেখানে প্রতিদিন কয়েক টন কুমড়ার আমদানি হয় এবং সেগুলো আরতদারদের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যায়। বর্তমানে বাজারে কুমড়ার দাম ভালো। কুমড়া চাষে উপজেলার দায়িত্বরত কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
মন্ত্রণালয়ে সভা করে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী
‘মানুষ এখন ডাল-ভাত নয়, মাছ-মাংস নিয়ে চিন্তা করে’
আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও বেড়েই চলেছে আলুর দাম
X
Fresh