বমির আলামতে জানা গেল ইমামের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী
মাদারীপুরের পেয়ারপুর ইউনিয়নের উত্তরকান্দী এলাকায় পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে একই এলাকার জবানখান জামে মসজিদের ইমাম মো. মেহেদী হাসান মোল্লাকে (৪৫) আটক করে থানায় দিয়েছে স্থানীয়রা। গেল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। রাতেই ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মাদারীপুর সদর থানায় মামলা করেন।
অভিযুক্ত ইমামের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলার রায়েন্দা এলাকায়।
তিনি প্রায় ১২ বছর ধরে এই মসজিদে ইমামতি করে আসছিলেন। তিনি একই এলাকার মো. রাজ্জাক মোল্লার ছেলে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, গেল তিন মাস আগে স্কুলছাত্রী মসজিদের টিউবওয়েলে পানি আনতে গেলে মসজিদের ইমাম জোরপূর্বক ধরে তার রুমে নিয়ে যান। পরে তাকে ধর্ষণ করেন। ভয় দেখানোর কারণে তিন মাস আগের ঘটনাটি কারও কাছে প্রকাশ করেনি স্কুলছাত্রী। কিন্তু হঠাৎ তার শারীরিক পরিবর্তন ও বারবার বমি করায় সন্দেহ হলে পরিবারের কাছে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে সে। ব্যাপারটি স্থানীয় মুরব্বিদের জানানো হলে বিষয়টি তারা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে সাধারণ জনগণ ইমামকে চাপ প্রয়োগ করলে বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। পরে এলাকার জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদের ইমামকে আটক করে গেল মঙ্গলবার রাতে মাদারীপুর সদর থানায় সোপর্দ করেন। মেয়েটিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।