• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জেলেদের ইলিশ ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশ-সাংবাদিক ও মৎস্য কর্মকর্তার ভাগাভাগি

ফরিদপুর প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ২৯ অক্টোবর ২০১৯, ১১:১১
পুলিশ সাংবাদিক ইলিশ
ফাইল ছবি

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় জেলেদের কাছ থেকে ইলিশ মাছ ছিনিয়ে নিয়ে উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের এক সদস্য, চারজন পুলিশ ও কয়েকজন সাংবাদিক মাছ ছিনিয়ে নিয়ে নিজেরা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একজন এসআই ও তিনজন কনস্টেবলকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়েছে।

জানা গেছে, রোববার দিনগত রাতে ওই ব্যক্তিরা জেলেদের নৌকায় হানা দিয়ে আনুমানিক দেড় মণ ইলিশ মাছ লুট করেন। পরে উপজেলার গোপালপুর ঘাটে এসে মাছগুলো নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেন। এ সময় তারা জেলেদের কাছ থেকে ছিনিয়ে আনা আনুমানিক দুই হাজার মিটার কারেন্ট জাল গোপালঘাটের এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রিও করে যান।

এ ঘটনার সঙ্গে চরভদ্রাসন উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের ক্ষেত্র সহকারী শামীম আরেফিন, চরভদ্রাসন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান ও তিন কনস্টেবল কুতুবউদ্দিন, ফরহাদ হোসেন ও সেলিম মিয়া এবং চরভদ্রাসন উপজেলার সাংবাদিক লিয়াকত আলী লাবলু, উজ্জ্বল হোসেন ও উজ্জ্বলের সহযোগী মো. কামাল হোসেন জড়িত বলে অভিযোগে জানা যায়।

গোপালপুর ঘাট মালিকের প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী মৃধা জানান, ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ঘাটে এসে মৎস্য অফিসের লোক, পুলিশ ও সাংবাদিকরা মাছ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়ে যান।

চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন সুলতানা জানান, সোমবার সকালে মৎস্য কার্যালয়ের লোক, পুলিশ ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মাছ চুরির খবর তিনি জানতে পেরেছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হতে পারে না। অসৎ উদ্দেশেই ওই ব্যক্তিরা যে সেখানে গিয়েছিলেন তা বলা যায়।

---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: মা ইলিশ ধরায় ৩৬ জেলে আটক, জেল-জরিমানা
---------------------------------------------------------------

চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশীদ জানান, আসামি ধরার কথা বলে স্পিডবোট ভাড়া করে পদ্মায় গিয়েছিলেন এক এসআই ও তিন কনস্টেবল। কিন্তু মৎস্য অফিসের লোকের পাল্লায় পড়ে তারা নিজেদের দায়িত্ব ভুলে গিয়ে মাছ চুরিতে সহায়তা করেছে। এসআই মিজানুর রহমান ও তিন কনস্টেবলকে চরভদ্রাসন থানা থেকে প্রত্যাহার করে ফরিদপুর পুলিশ লাইন্সে ক্লোজ করা হয়েছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মালিক তানভীর হোসেন বলেন, উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের সহকারী শামীম আরেফিনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

চরভদ্রাসন প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মেজবাহউদ্দিন বলেন, যে সকল সাংবাদিক মাছ চুরি করতে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে লিয়াকত আলী লাবলু ও উজ্জ্বল হোসেন তার ক্লাবের সদস্য। ওই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেবি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ফরিদপুরে মন্দিরে অগ্নিকাণ্ডে এলাকা রণক্ষেত্র, ২ ভাই নিহত
ঘরে ঝুলছিল তরুণের মরদেহ
চলছে শিল্পী সমিতির নির্বাচন : এফডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার
পর্যটকদের মারধর, এএসপি বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন
X
Fresh