লোকলজ্জার ভয়ে গণধর্ষণের শিকার তরুণীর আত্মহত্যা
লোকলজ্জার ভয়ে গণধর্ষণের শিকার তরুণী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই তরুণীর বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লালটেক গ্রামে। সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী ইউনিয়নের চেরাগী গ্রামে বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন সেই তরুণী।
সেখানেই গণধর্ষণের শিকার হন তিনি। গেল নয় অক্টোবর দিবাগত রাতে বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘরের বাইরে যান। তখন পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা দুই ব্যক্তি তাকে জোরপূর্বক অন্যত্র উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর মুখ, হাত ও পা বেঁধে মারধর করে রাতভর পালাক্রমে গণধর্ষণ করা হয়। এরপর ভোররাতে পপিকে তার বোনের বাড়িতে (যেখান থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়, সেই স্থানে ) ফেলে রেখে যায় ওই দুই ব্যক্তি।
ওই তরুণীর মা জ্যোৎস্না বেগম জানিয়েছেন, রোববার মেয়ে পপি বেগমের ব্যবহৃত ভ্যানেটি ব্যাগ হাতে নিয়ে মেয়ের রেখে যাওয়া স্মৃতি দেখতে গিয়ে ওই ব্যাগের মধ্যে পপির নিজ হাতে লেখা একটি কাগজ দেখতে পান।
এ সময় তিনি প্রতিবেশী লোকজনকে ডেকে কাগজটি পড়তে বলেন। তখন জানতে পারেন গণধর্ষণের শিকার হয়ে লোকলজ্জার ভয়ে পপি আত্মহত্যা করেছে। যারা এ ঘটিয়েছে তাদের নামও চিরকুটে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, নিহতের পরিবারের মৌখিক অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তবে তা খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেবি
মন্তব্য করুন