বাবা-মাকে সামনের সিটে রেখে ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা সুপারভাইজারের
হবিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এনা পরিবহনের বাসে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত ওই বাসের সুপারভাইজার মানিক মোল্লাকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার মানিক মোল্লা নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের নাজির মিয়ার ছেলে এবং এনা পরিবহনের সুপারভাইজার।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাধবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান বলেন, হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার কর্চা গ্রামের একটি পরিবার এনা পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৭৮৫১) ঢাকায় যাচ্ছিল।
পরিবারের সদস্যরা বাসে ওঠার পর শায়েস্তাগঞ্জ অলিপুর পার হলে সুপারভাইজার কৌশলে ওই পরিবারের শিশু ছাত্রীকে গাড়ির পেছনের আসনে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
এ সময় ছাত্রীর চিৎকারে বাবা-মা ও বাসের অন্য যাত্রীরা এগিয়ে যান। সেইসঙ্গে ছাত্রীকে ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা করেন তারা। একইসঙ্গে উত্তেজিত যাত্রীরা সুপারভাইজার মানিক মোল্লাকে গণধোলাই দেন।
পরে যাত্রীরা মাধবপুর থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলার ইটাখোলা এলাকায় গাড়িটি আটক করে সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ছাত্রীর বাবা জানান, তিনি ঢাকার টঙ্গীতে সপরিবারে থেকে একটি ফুলের বাগানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার মেয়ে টঙ্গীর একটি বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। হবিগঞ্জ থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটান এনা পরিবহনের সুপারভাইজার।
ওসি আজমিরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সুপারভাইজার মানিক মোল্লাকে আসামি করে মাধবপুর থানায় মামলা করেছেন। মানিক মোল্লার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেবি
মন্তব্য করুন