আজও চলছে আন্দোলন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যার প্রতিবাদে চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলন চলছে। শিক্ষার্থীরা তাদের ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে বিভিন্ন আল্টিমেটাম দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বুয়েট ক্যাম্পাসে শেরে বাংলা হলের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলের মধ্য দিয়ে শুরু হয় চতুর্থ দিনের কর্মসূচি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, শুক্রবারের (১১ অক্টোবর) মধ্যে বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম কথা না বললে ও তার অবস্থান পরিষ্কার না করলে বুয়েটের সব ভবনে তালা দেয়া হবে। বলে ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া আবরারের খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত খুনিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা, বুয়েট ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করাসহ দশদফা দাবি জানান তারা।
গেল ৭ অক্টোবর সকাল থেকে আন্দোলন করছেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুয়েটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচি পালন করছেন।
আজ সকাল ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবরারের জন্য শোক র্যালি করেছে ছাত্রলীগ।
অন্যদিক, আজ বেলা ১১টার দিকে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহাকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। ফাহাদকে যে কক্ষে হত্যা করা হয় সেই ২০১১ কক্ষের বাসিন্দা অমিত। আবরারের রুমমেট মিজানকেও আটক করেছে ডিবি দক্ষিণের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।
গেল রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যার ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে তার বাবা বরকত উল্লাহ ঢাকার চকবাজার থানায় মামলা করেছেন।
জিএ
মন্তব্য করুন