প্রশ্নপত্র দিয়ে মনে হলো পরীক্ষার্থীর ফোর পয়েন্ট নেই
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর পর যোগ্যতা নেই বলে হল থেকে বের করে দেওয়া হলো এক নারী চাকরি প্রার্থীকে।
শুক্রবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। ওই পরীক্ষার্থীর নাম সাবিনা ইয়াসমিন।
পরীক্ষার্থী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আমি বিজ্ঞপ্তির নিয়ম অনুসরণ করেই আবেদন করেছি এবং প্রবেশপত্র পাওয়ার পর নিয়োগ পরীক্ষা দিতে আসি। যথারীতি আমাকে পরীক্ষার খাতা ও প্রয়োজনীয় উপকরণ দেওয়া হয়। পরে আকস্মিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষক এসে আমার প্রবেশপত্র ও খাতা কেড়ে নেন। তারা আমাকে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেন। আমি কারণ জানতে চাইলে তারা প্রভাষক পদে আমার আবেদনের যোগ্যতা নেই বলে জানান। যোগ্যতা না থাকলেও কেন প্রবেশপত্র ইস্যু করা হয়েছে- এমন প্রশ্ন করা হলে তারা কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। আমি বারবার পরীক্ষা নেওয়ার অনুরোধ জানালেও তারা কর্ণপাত করেননি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের চেয়ারম্যান সোহেল রানা আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ওই প্রার্থীর এইচএসসিতে ফোর পয়েন্ট নেই বলে পরীক্ষা কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে তাকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। তাহলে তাকে প্রবেশপত্র দেওয়া হল কেন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমাদের প্ল্যানিংয়ে অনাকাঙ্খিত একটু ভুল হয়েছে। তবে প্রার্থী সাবিনার দাবি, তিনি চাকরির বিজ্ঞপ্তির সব শর্ত পূরণ করেই আবেদন করেছেন। আমার এসএসসিতে ৪.৩৮, এইচএসসিতে ৩.৮০ এবং সম্মান শ্রেণিতে ৪-এর ভেতর ৩.৫৬ রয়েছে। চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে এইচএসসিতে জিপিএ-ফোর অথবা প্রথম বিভাগ চাওয়া হয়। প্রথম বিভাগ মানে এইচএসসিতে জিপিএ-থ্রি। সেই হিসেবে আমি আবেদন করি।
নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের চেয়ারম্যান সোহেল রানা আরও জানান, দুইজন প্রভাষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য এই পরীক্ষা হয় বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান সোহেল রানা। এজন্য মোট ৪৯ জন প্রার্থী আবেদন করেন। যাচাই-বাছাই করে ৪৪ জনকে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়। পরীক্ষায় অংশ নেন ২৯ জন।
এদিকে সাবরিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বসে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রক্টর প্রীতম কুমার দাস বলেন, তাকে ভুল করে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়েছে। তার এই পদের জন্য যোগ্যতা নেই। তার এইচএসসিতে চলা পয়েন্টের স্থলে ৩.৮০ রয়েছে। তবে পরীক্ষা কমিটির সদস্যরাই এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-উপাচার্য আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভুল করে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেন।
জেবি
মন্তব্য করুন