• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

বৃদ্ধ শামসুল হক জানেন না কেন জেল খাটছেন!

রাজীবুল হাসান,গাজীপুর

  ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:১২
জেল, বৃদ্ধ, প্রতিবেশী

গাজীপুরের শ্রীপুরে এক পোশাক কারখানার শ্রমিককে মারধরের মামলায় জেল খাটছেন কৃষক শামসুল হক (৬৪)। অথচ বাস্তবে কোনও মারামারি কিংবা হামলার ঘটনাই সেদিন ঘটেনি।

এদিকে মিজানুর রহমান নামে যাকে মারার অভিযোগে ওই কৃষক প্রধান আসামি হয়ে জেলে সে ঠিকই নিয়মিত অফিস করছে। নেই শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্নও। অথচ তার বাবা রমজান আলী প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য ছেলেকে আহত সাজিয়ে থানায় ৩২৬ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশও আজগুবি এমন মামলা গ্রহণ করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। মামলার প্রধান আসামি নিরীহ কৃষক শামসুল হক ওই মামলায় গেল ১০দিন ধরে জেল খাটছেন। জেলার বাঁশবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, শ্রীপুর উপজেলার বাঁশবাড়ি এলাকার মৃত সূর্যত আলীর ছেলে শামসুল হকের সঙ্গে প্রতিবেশী রমজান আলীর জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। শামসুল হকের পরিবারকে হয়রানির জন্য রমজান আলী তার ছেলে মিজানকে লোহার রড দিয়ে মারপিট ও শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে গেল ৩১ আগস্ট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এজাহারে বলা হয় হত্যার উদ্দেশে গুরুতর জখম, চুরি শ্লীলতাহানি করা হয়। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত দুই সেপ্টেম্বর শ্রীপুর থানায় কৃষক শামসুল হক, তার তিন ছেলে ময়জুদিন, বাচ্চু মিয়া, খোকন ও ভাই সবুজ মিয়াসহ ১৫জনের নাম উল্লেখ করে ৩২৬ ধারাসহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা গ্রহণ করে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মামলায় উল্লেখিত দিনে এ রকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। তাছাড়া মিজান গুরুতর আহত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ মিজান ওই দিন ওই সময় তার কর্মস্থল ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কাশর ‘টিএম টেক্সটাইল গার্মেন্টস’ কারখানায় ছিলেন। ওই কারখানার দৈনিক হাজিরার খাতায় খোঁজ করে দেখা যায়, সকাল সাতটা ৪২ মিনিটে তিনি কারখানায় প্রবেশ করে পাঁচটা তিন মিনিটে বের হয়েছেন। অথচ মামলার বর্ণনায় বলা হয়েছে বেলা ১১ টার দিকে শামসুল হকের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মিজানের ওপর হামলা চালায়।