রাতে আটক, ভোরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গাসহ তিন সন্ত্রাসী নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গাসহ তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। এসময় পুলিশের তিন সদস্য আহত এবং ৩টি অস্ত্র ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে টেকনাফের বাহারছড়া পাহাড়ি এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, নিহতরা অস্ত্র, মাদক, হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামি।
নিহতরা হলেন- উখিয়া বালুখালী ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা বস্তির ফজল আহাম্মদের ছেলে মো. জামিল (২০), একই ঠিকানার বস্তির নবী হোসেনের ছেলে মো. আসমত উল্লাহ (২১) ও টেকনাফের বাহারছড়া নতুনপাড়া এলাকার মৃত মো. আলীর ছেলে মো. রফিক (২৪)।
টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ আরটিভি অনলাইনকে বলেন, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে হত্যা, অস্ত্র ও মাদকসহ বহু মামলার পলাতক ৩ আসামিকে আটক করা হয়। তারা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন, অত্র উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি অপহরণ, মানুষ হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে তারা সক্রিয়ভাবে জড়িত। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভোরে বাহারছড়া শামলাপুর ঢালা এলাকায় জঙ্গলের ভেতর অস্ত্র ও ডাকাত দলের লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করতে জন্য গেলে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে রাতে আটক হওয়া ৩ আসামিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাদেরকে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় তৈরি ৩টি এলজি, ৬ রাউন্ড তাজা গুলি, ৮ রাউন্ড গুলির খালি খোসা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হচ্ছে।
এসএস
মন্তব্য করুন