• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

মাল্টা চাষে স্বাবলম্বী আবু সায়াদ

মো. আব্দুল আজিজ, হিলি

  ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:২৮
মাল্টা, চাষি, বাণিজ্যিকভাবে

বরেন্দ্র অঞ্চলের শস্যভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বারি-১ জাতের মাল্টা। মাল্টা পাহাড়ি ফল হিসেবে পরিচিত হলেও সমতল ভূমিতে রয়েছে এ ফলের ব্যাপক সম্ভাবনা। মাটির গুণাগুণ ঠিক থাকলে সমতল এলাকাতেও মাল্টা চাষ করে লাভবান হতে পারেন কৃষকরা। এমনটি জানিয়েছে সফল মাল্টা চাষি কাজী আবু সায়াদ। বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক জনপ্রিয় ও সহজলভ্য একটি ফল হচ্ছে মাল্টা। এ ফলটি সারা বছর পাওয়া যায় এবং দামে বেশ সস্তা। মাল্টাতে বিভিন্ন ভিটামিনসহ অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে।

মাল্টা চাষ করে সফল হয়ে এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ঘোড়াঘাট উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কাজী আবু সায়াদ চৌধুরী। তার বাগানের গাছে গাছে ঝুলছে থোকা থোকা মাল্টা। বাগানে রয়েছে শতাধিক মাল্টা গাছ। শুধু তাই নয় মাল্টাসহ তার বাগানে সাথী ফসল হিসেবে লেবু গাছ, পেঁপে গাছ ও লিচু গাছ রয়েছে। কাজী আবু সায়াদের সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এলাকার বেকার যুবকেরা ঝুঁকছেন মাল্টা বাগান গড়ে তোলার দিকে।

আবু সায়াদ চৌধুরী ব্যক্তিগতভাবে ২০১৭ সালে আগস্ট মাসে ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় উপজেলার পালশা ইউনিয়নের বিলপাড়া গ্রামের পৈতৃক দেড় একর পরিমাণ পরিত্যক্ত পুকুর পাড়ের পশ্চিম পার্শ্বে দুই বিঘা পরিমাণ জমিতে মাল্টা (বারি-১) জাতের চারা রোপণ করেন। প্রায় দুই বছরেই মাল্টা গাছে ফল ধরেছে। বাগানের গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন সাইজের মাল্টা। সবুজ পাতার আড়ালে কিংবা পাতাঝরা ডালেও ঝুলছে থোকা থোকা মাল্টা।

মাল্টা চাষি কাজী আবু সায়াদ চৌধুরীর সঙ্গে কথা হলে তিনি আরটিভি অনলাইনকে জানান, প্রথম গাছে মাল্টা ধরার পর থেকে ফল চাষের মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের স্বপ্ন জাগে তার। এখন চলছে স্বপ্ন পূরণের পালা। স্থানীয় কৃষকরা এসব ফলমূল চাষে এগিয়ে এলে মাল্টাসহ বিভিন্ন ফলের চাহিদা মেটানো সম্ভব। ফলগুলো সুমিষ্ট হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

তিনি আরও জানান, গত বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে মাল্টার ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি কেজি মাল্টা বিক্রি হয় ১১০ থেকে ১৪০ টাকা দরে।

ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এখলাস হোসেন আরটিভি অনলাইনকে জানান, ঘোড়াঘাটসহ দিনাজপুর জেলায় ধান চাষের পাশাপাশি মাল্টা চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ধান উৎপাদনের চেয়ে মাল্টা চাষে দশগুণ বেশি লাভবান হতে পারে এ অঞ্চলের কৃষক।

তিনি আরও বলেন, ভূগর্ভের অল্প পানি উত্তোলন করে কম খরচে ফলজ বাগান তৈরি করে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে।

জেবি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আঙ্গুরে বাংলাদেশের বর্ধিত শুল্ক তুলে নিতে আবেদন ভারতীয় চাষীদের
মাশরুম চাষ করে স্বাবলম্বী শাপলা আক্তার
দাঁত ব্রাশ করতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
চাকরি দেবে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি, বেতন ৮৪,০০০ টাকা
X
Fresh