সপরিবারে গৃহপরিচারিকার বাড়িতে মাশরাফি
মাশরাফি বিন মুর্তজা এখন শুধুই একজন ক্রিকেটার নন, তিনি বাংলাদেশ সরকারের একজন সংসদ সদস্যও। নড়াইল-২ আসনে জয়ী হয়েই জায়গা করে নিয়েছেন সংসদে। সংসদ সদস্য হবার পর অনেকে তাকে নিয়ে কুৎসা রটান, তিনি নাকি বদলে গেছেন।
মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে ভক্তদের ভালোবাসার সম্মান কখনও কমেনি তার। মাঠের মাশরাফি যেমনটা ভক্তদের জন্য সাদা মনের মানুষ, তেমনটা আর সবার জন্যও। তারই পরিচয় মিলল শুক্রবার শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলায়।
গতকাল শুক্রবার (২৩ আগস্ট) শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার গৃহপরিচারিকার বাড়িতে সপরিবারে বেড়াতে এসেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এ নিয়ে এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। এ যেন মেঘ না চাইতে বৃষ্টি!
টুনির বাবা আক্কাছ আলী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকার মিরপুরে একটি হাউজিং এপার্টমেন্টে নিরাপত্তা কর্মী হিসাবে চাকরি করার সুবাদে ৮ বছর আগে ওই এপার্টমেন্টের একটি ফ্ল্যাটে বসবাসকারী ক্রিকেট তারকা মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে আক্কাছ আলীর পরিচয় হয়।
পরিচয়ের সূত্র ধরে তার মেয়ে টুনিকে গৃহপরিচারিকার কাজে নেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। শারীরিক অসুস্থতার কারণে আক্কাছ আলী চাকরি ছেড়ে চলে এলেও তার মেয়ে টুনি মাশরাফি বিন মুর্তজার বাসাতেই থেকে যান।
এ দীর্ঘ সময়ে মাশরাফি পরিবারের সদস্যদের সাথে টুনির গড়ে উঠে বিশ্বস্ততা ও মায়া-মমতার বন্ধন। যে কারণে টুনির পরিবারের প্রতি সব সময়ই মাশরাফি বিন মুর্তজার সহযোগিতার হাত ছিল প্রসারিত।
মাশরাফির আসার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ওই বাড়িতে মাশরাফি ভক্তদের ভিড় বেড়ে যায়। এসময় ভক্তরা অটোগ্রাফ নিতেও ভুল করেননি। বিকালেই মাশরাফিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
নালিতাবাড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু সাংবাদিকদের জানান, জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা খুবই বিনয়ী এবং একজন সাদা মনের মানুষ। তাঁর ব্যবহারে এলাকাবাসীসহ আমরা সবাই মুগ্ধ।
মোকছেদুর রহমান আরও বলেন, আক্কাছ আলীর মেয়ে টুনি দীর্ঘ আট বছর যাবত ওনার বাসায় কাজ করছেন। টুনির পরিবারের প্রতি মাশরাফির বিভিন্ন প্রকারের সহযোগিতা সত্যিই প্রশংসনীয়। অসুস্থ আক্কাছ আলীর চিকিৎসা সহায়তা, হাফ বিল্ডিংসহ টিনশেড ঘর নির্মাণে সহায়তা এবং টুনির ভবিষ্যৎ দায় দায়িত্ব নেয়াতে টুনির পরিবারসহ এলাকাবাসীও তাঁর (মাশরাফি) প্রতি দারুণভাবে কৃতজ্ঞ।
এমআর/
মন্তব্য করুন