• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

টানা ১০ ঘণ্টার বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে খুলনা মহানগরী

খুলনা প্রতিনিধি

  ১৭ আগস্ট ২০১৯, ১৯:২৭
বৃষ্টি, পানি, রাস্তা
টানা ১০ ঘণ্টার বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে খুলনা মহানগরী

টানা ১০ ঘণ্টা অবিরাম বর্ষণে খুলনা নগরীর অধিকাংশ এলাকা তলিয়ে গেছে। নিচু এলাকার ঘর-বাড়িতে পানি উঠেছে। রাস্তায় পানি জমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার বেলা ১০টা পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ বৃষ্টিকে এ বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হিসেবে রেকর্ড করেছে আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস।

বৃষ্টিতে নগরীর শান্তিধাম মোড়, রয়্যাল মোড়, বাইতিপাড়া, তালতলা, মডার্ন ফার্নিচার মোড়, পিকচার প্যালেস মোড়, পিটিআই মোড়, সাতরাস্তার মোড়, শামসুর রহমান রোড, আহসান আহমেদ রোড, দোলখোলা, নিরালা মোড়, বাগমারা, মিস্ত্রিপাড়া, ময়লাপোতা, শিববাড়ি মোড়, বড় বাজার, মির্জাপুর রোড, খানজাহান আলী রোড, খালিশপুর মেঘার মোড়, দৌলতপুর, নতুনবাজার, পশ্চিম রূপসা, রূপসা স্ট্যান্ড রোড, সাউথ সেন্ট্রাল রোড, বাবু খান রোড, লবণচরা বান্দা বাজারসহ প্রায় সব এলাকার রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এসব এলাকার অনেক ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ে। নিম্নাঞ্চলের বস্তি ঘরগুলোতে হাঁটু পানি জমে যায়। অনেক এলাকার ভবনের নিচতলা পানিতে তলিয়ে যায়।

সকালে বৃষ্টিতে রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল খুবই কম দেখা গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে রিকশা বা ইজিবাইক না পেয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হয় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে। এদিকে অবিরাম বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে যানবাহন চলাচল কম থাকায় যাত্রীদের রিকশা ও ইজিবাইকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

খালিশপুর মুজগুন্নী আবাসিক এলাকার অধিবাসী মো. শাহ আলম আরটিভি অনলাইনকে বলেন, বৃষ্টির কারণে ঘর থেকে বের হতে পারিনি। এখন অনেক কষ্ট করে বের হয়েছি রাস্তায়। নগরীর মুজগুন্নী এলাকায় শিশুপার্কের সামনে হাঁটু পানি জমে গেছে। এছাড়া ভারী বৃষ্টিতে খালিশপুরের অধিকাংশ রাস্তা তলিয়ে গেছে।সব জায়গায় পানি আর পানি।

এলাকাবাসী বলছে, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ফেলা, খাল ভরাট, অবৈধ দখল ও বাঁধ দিয়ে মৎস্য চাষসহ নানা কারণে সামান্য বৃষ্টিতে নগড়জুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন নগরবাসী।

খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবিরুল আজাদ আরটিভি অনলাইনকে বলেন, মহানগরীর জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য এরই মধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে। খাল খনন ও অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করা হয়েছে।এখন দ্রুত অভিযান শুরু হবে। কেডিএ এভিনিউর ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ শুরু হয়েছে। ২০৩০ সালের জুনে এসব কাজ শেষ হবে। তখন নগরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।

খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় খুলনাঞ্চলে এ প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়। রাত তিনটার দিক থেকে ভারী বৃষ্টি হতে থাকে। শনিবার সকাল নয়টা পর্যন্ত ১১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

জেবি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেসব জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে
‘রেকর্ড স্টোর ডে’তে এবারও বিশেষ আয়োজন
সব রেকর্ড ভাঙল স্বর্ণের দাম
বৃষ্টি-বন্যায় বিপর্যস্ত ওমান-আরব আমিরাত
X
Fresh