বরগুনায় হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, দুইজনের যাবজ্জীবন
বরগুনায় আলোচিত অনিক হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান বুধবার বেলা সাড়ে বারোটার দিকে এ দণ্ডাদেশ দেন।
আসামিদের মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের কাঁঠালতলী গ্রামের আবদুস সত্তার গাজীর ছেলে সালাউদ্দিন গাজীকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় সালাউদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। অনেক আগে থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বরগুনা পৌরসভার থানাপাড়া সড়কের জামাল সওদাগরের ছেলে রুবেল সওদাগর ও বড় গৌরীচন্না গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে নাজমুল।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেতাগীর কাজিরাবাদ ইউনিয়নের চান্দখালী কলেজ গেটের শামীম আহসানের ছেলে হৃদয় আহসান, বরগুনা পৌরসভার শহীদ স্মৃতি সড়কের জানুকী রায়ের ছেলে বাদল কৃষ্ণ রায় ও থানাপাড়া সড়কের দুলাল খানের ছেলে সোহেল খানকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার সেলিম রেজা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পরে বরগুনা পৌরসভার শহীদ স্মৃতি সড়কের সুবল চন্দ্র রায়ের ছেলে অনিককে (১৭) কোমল পানীয়র সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ডিস লাইনের ক্যাবল তার গলায় বেঁধে ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়।পরে অনিকের মরদেহ বরগুনা জেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের পুরাতন ভবনের পাশে সেফটিক ট্যাংকির ভেতরে ফেলে রাখে। অনিককে হত্যার পরের দিন সকাল সাড়ে নয়টার দিকে অনিকের বাবা সুবল চন্দ্র রায়কে ফোন করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অনিক হত্যার তিন দিন পর তার বাবা সুবল চন্দ্র রায় বাদী হয়ে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে একাধিক আসামি গ্রেপ্তার হলে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যার আঠারো দিন পরে পাঁচ অক্টোবর রাত আটটার দিকে সেফটিক ট্যাংকির ভেতর থেকে অনিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মামলার দীর্ঘ শুনানি ও ৩২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রায় ঘোষণা করেছেন। সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। আসামিপক্ষে ছিলেন, বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী আসলামসহ একাধিক আইনজীবী।
জেবি
মন্তব্য করুন