হাতে পায়জামা নিয়ে থানার সামনে আহত বর

গায়ে ছেঁড়া পাঞ্জাবি, পরনে লুঙ্গি এবং হাতে পায়জামা নিয়ে শুক্রবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর থানার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন মো. মোরশেদুল আলম মুসা নামের এক ব্যক্তি।

তার চোখেমুখে উদ্বেগ, হতাশা আর ক্ষোভ। তার এই উদ্বেগ আর হতাশার কারণ শুক্রবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাহাপুর এলাকায় বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে হাত ধোয়ার বকশিশ নিয়ে বরপক্ষ ও কনেপক্ষের মধ্যে ব্যাপক মারামারি হয়। এতে বর মোরশেদসহ আহত হন ১২ জন। তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ ঘটনার পর আহত বর নিজেই লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনের নামে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

বরের স্বজনরা জানান, তিন মাস আগে পৌর শহরের বাঞ্ছানগর এলাকার আবদুল মুনাফের ছেলে মোরশেদুল আলমের সঙ্গে সাহাপুর এলাকার আবু তাহেরের মেয়ে তানিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। শুক্রবার বর নিজের বাড়িতে বৌ তুলে নিতে আসেন।

বিয়ের স্টেজে বরকে হাত ধুইয়ে দেন কনের বাড়ির মেয়েরা। এরপর তারা বকশিশ দাবি করে। তাদেরকে পাঁচশত টাকা বকশিশ দেওয়া হয়। কিন্তু চাহিদামতো বকশিশ না পেয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন কনের বাড়ির লোকজন।

এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কনের মামা তোফায়েলসহ কয়েকজন উত্তেজিত হয়ে বর ও বরযাত্রীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় বরের পাঞ্জাবি ও পায়জামা ছিঁড়ে ফেলে তারা। বাধা দিতে এলে বরের সঙ্গীদেরও মারধর করা হয়।

বরপক্ষের অভিযোগ, মারামারির সময় কনেপক্ষের লোকজন দুটি মোবাইল ফোন, ১২ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।

বরের বড় ভাই আহত ফারুক বলেন, কনেপক্ষের লোকজন চাহিদা অনুযায়ী বকশিশ না পেয়ে আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে।

মেয়ের বাবা আবু তাহের জানান, ছেলের অন্য মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি গোপন রাখায় কথা কাটাকাটি হয়েছে। কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া আরটিভি অনলাইনকে বলেন, বিয়েবাড়িতে মারামারির ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেবি/পি