• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

গাইবান্ধায় ত্রিশ বছরের ইতিহাস ভেঙেছে এবারের বন্যা

ফেরদৌস জুয়েল, গাইবান্ধা

  ১৮ জুলাই ২০১৯, ১৩:০৪
ভয়াবহ বন্যা
গাইবান্ধায় ত্রিশ বছরের ইতিহাস ভেঙেছে এবারের বন্যা

গাইবান্ধায় ত্রিশ বছরের ইতিহাস ভেঙেছে এবারের বন্যা। চর ছাপিয়ে গ্রামের পর গ্রাম ভাসিয়ে শহরেও ঢুকে পড়েছে বানের জল। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এ ভয়াবহ পরিস্থিতি হচ্ছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, আজ সকালে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ১৫০ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদীর পানি ৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়ন এবং গাইবান্ধা পৌরসভা প্লাবিত হয়ে সাড়ে ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাঁধ ভেঙে গাইবান্ধা শহরের দুই তৃতীয়াংশ এলাকার বাসাবাড়ি তলিয়ে গেছে। বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ১১৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। ব্রহ্মপুত্রের পানি চরের বাড়িঘরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পানির প্রবল স্রোতে ভেসে গেছে পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি।

ত্রিমোহিনী রেল জংসন ও আশপাশের এলাকায় রেললাইনের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় লালমনিরহাট-সান্তাহারগামী লোকাল ও মেইল ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। তবে লালমনি এক্সপ্রেস কাউনিয়া-রংপুর-পারবর্তীপুর-শান্তাহার হয়ে ঢাকা চলাচল করছে। এছাড়া রংপুর এক্সপ্রেস রংপুর-পারবর্তীপুর-শান্তাহার হয়ে ঢাকা চলাচল করছে। অপরদিকে ফুলছড়ি হেডকোয়াটার হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে।

গাইবান্ধা পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন জানান, পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার্তদের জন্য ১২টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার, খাদ্য, পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ঘাঘট নদীর পানির তোড়ে সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের ফকিরপাড়া এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ-রংপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে হাঁটুর ওপরে পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়ায় সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া কদমতলী এলাকায় একটি সেতু পানির প্রবল স্রোতে ভেঙে পরার উপক্রম হয়েছে। বালির বস্তা দিয়ে সেতুটি রক্ষার চেষ্টা চলছে।

বন্যা কবলিত এলাকার রাস্তাঘাট সব ডুবে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে ১০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা, ৯৮ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা, ৩৬ কালভার্ট ও পাঁচ কিলোমিটার বাঁধ।

অন্যদিকে ১ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল পানিতে ডুবে গেছে। ৪ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৩৩২টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।

গাইবান্ধার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রোখছানা বেগম জানান, এ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত ৪ উপজেলায় জেলা ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫৮৫ মেট্রিক টন চাল, ৯ লাখ টাকা ও ৪ হাজার কার্টুন শুকনো খাবার। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে সেগুলো বিতরণের কাজ চলছে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আমিরাতে বন্যা : ৩ ফিলিপাইন নাগরিকের মৃত্যু
বৃষ্টি-বন্যায় বিপর্যস্ত ওমান-আরব আমিরাত
আরব আমিরাতে ভয়াবহ বন্যা, ঢাকামুখী ৯ ফ্লাইট স্থগিত 
মুক্তি পাওয়ায় নাবিকদের বাড়িতে খুশির বন্যা
X
Fresh