• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কুড়িগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে ৪ শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু

কুড়িগ্রাম (উত্তর) প্রতিনিধি

  ১৬ জুলাই ২০১৯, ১৩:৪৭
কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে চার শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নাগেশ্বরীতে একজন ও চিলমারির তিনজন শিশু। অপরদিকে নাগেশ্বরীতে সোমবার বিকেলে কালীগঞ্জ গোদ্ধারের পার এলাকায় মামুন নামে একজন পা পিছলে পানিতে পরে নিখোঁজ হন। আজ (মঙ্গলবার) সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরির্দশক বাবুল কুমার জানান, সোমবার বন্যার পানিতে তিনজনের মারা যাওয়ার খবর দিয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীরা।

নিহতরা হলেন- চিলমারী ইউনিয়নের ঢুষমারা থানার গাছবাড়ি এলাকার মাইদুলের ১৮ মাসের কন্যা মনি খাতুন। সে খেলতে খেলতে পানিতে পরে মারা যায়। অষ্টমীর চরের খর্দ্দ বাঁশপাতারী গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ৯ মাস বয়সী শিশু হাসানুল হক চৌকি থেকে পানিতে পরে মারা যায় এবং রাণীগঞ্জ থানার চুনমুলপাড়ার প্রতিবন্ধী বীথি (১০) পানিতে ডুবে মারা যায়।

অপরদিকে উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের ব্যাপারীগ্রামে বাড়ির পিছনে খেলতে গিয়ে হাবিবুল্লাহ (৬) নামে এক শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। সে ওই গ্রামের কৃষক মাহবুরের ছেলে। হাতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। ধরলা, ব্রহ্মপূত্র ও তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার ৫৫টি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্লাবিত হয়েছে ৩৯০টি গ্রামের প্রায় ৩ লাখ মানুষ। অস্বাভাবিকহারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় যোগাযোগ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কুড়িগ্রাম-নাগেশ্বরী সড়কের উপর দিয়ে হাঁটু পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এরফলে ফুলবাড়ী, ভুরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বরী উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ জেলার সাথে চরম ভোগান্তির মধ্যে পারাপার করছে। অপরদিকে নাগেশ্বরীতে নদী তীর রক্ষা বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। এতে স্থানীয়দের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোলরুম সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামে তিনটি পৌরসভাসহ ৭৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫৫টি ইউনিয়নের ৩৯০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রলয়ঙ্কাকারী বন্যায় ৭৩ হাজার ৫১১টি পরিবারের ২ লাখ ৯৪ হাজার ৪৪ জন মানুষ দুর্ভোগে পরেছে। বন্যায় ২৭৫ প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় ২২ দশমিক ৩০ কিলোমিটার রাস্তা ও ১৬টি সেতু/কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় ৯০০ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে যাওয়ায় ৫২২ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শিশু হত্যা মামলায় বৃদ্ধের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড 
নোয়াখালীতে রেজাল্ট শিট আনতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
নোয়াখালীতে ধান কাটার মেশিনের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
কুড়িগ্রামে পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ আহত ১০
X
Fresh