• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি, ৪২১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম

  ১৫ জুলাই ২০১৯, ১৯:০২
বন্যা পরিস্থিতি
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি

কুড়িগ্রামে সবগুলো নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অনেক অবনতি হয়েছে। এ বন্যায় সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি ৯ উপজেলার ৪২১টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে।

জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গেল কয়েকদিন আগে মাধ্যমিক শাখার বিদ্যালয় ও মাদরাসার অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা সম্প্রতি এবং প্রাথমিকের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা বেশ কয়েকদিন আগে শেষ হয়েছে। আপাতত মাধ্যমিকে কোনও পরীক্ষা না থাকলেও প্রাথমিক শ্রেণিসমূহে ১ আগস্ট থেকে ২য় সাময়িক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এ বন্যায় দ্রুত পানি সরিয়ে না গেলে প্রাথমিকের এ পরীক্ষা নেয়া অত্যন্ত দুরূহ হবে বলে জানা যায়।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম আরটিভি অনলাইনকে জানান, বন্যার পানি প্রবেশের কারণে কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলায় ২৮৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ দান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, তবে চিলমারী ও উলিপুর উপজেলায় সর্বাধিক সংখ্যক প্রাথমিক বিদ্যালয় পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ দুই উপজেলার চিলমারীতে ৫৬টি ও উলিপুরে ৫১টি করে বিদ্যালয় পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। তবে পুরোপুরি বিদ্যালয়গুলো তলিয়ে না গেলেও আংশিক ডুবেছে।
অন্যদিকে সদর উপজেলায় ৩৫টি, ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় ১১টি, নাগেশ্বরী উপজেলায় ৩৪টি, ফুলবাড়ী উপজেলায় ৮টি, রাজারহাট উপজেলায় ৬টি, রৌমারী উপজেলায় ৩৮টি এবং রাজিবপুর উপজেলায় ৩৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় সাময়িকভাবে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়াও বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭টি বিদ্যালয় এবং নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

মো. শহিদুল ইসলাম আরও জানান, পাঠদান বন্ধ থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বন্যার্তদের পাশে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ও শ্রেণি কক্ষে বন্যার পানি প্রবেশের কারণে জেলায় মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১২১টি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় পাঠদান কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে এদের মধ্যে ৫৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বন্যার্তদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খোলা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল আলম আরটিভি অনলাইনকে জানান, মাউশির নির্দেশনা অনুযায়ী বন্যার পানি প্রবেশ করায় যেসব হাইস্কুল, কলেজ ও মাদরাসা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও একজন পিয়নকে সার্বক্ষণিক তাদের প্রতিষ্ঠানে বন্যার্ত মানুষের পাশে থেকে তাদের বাথরুম ও টয়লেট সুবিধাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা জোরদারে কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। পানি নেমে গেলে এসব বিদ্যালয়ে শ্রেণি পাঠদান পুষিয়ে নিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh