বিজয়ের খাবার মেন্যুতে কলা-আপেল, দিনে চারবার গোসল শ্যাম্পু দিয়ে
খাবারের মেন্যুতে তার কলা, আপেল থাকা চাই। দিনে চার বার গোসল! তাও একবার আবার শ্যাম্পু দিয়ে। গরম সহ্য হয় না বলে ঘরে লাগানো হয়েছে অতিরিক্ত ফ্যান। এমন শান-শওকতে চলতে অভ্যস্ত ‘বিজয়’ প্রস্তুতি নিচ্ছে আসছে ঈদুল-আজহার জন্য।
তবে এমন লাইফস্টাইলের কথা পড়ে কেউ বিজয়কে মানুষ ভেবে ভুল করবেন না। অভিজাত এমন লাইফস্টাইলে চলা বিজয় ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়! ঈদের আগেই সেলিব্রেটি তকমা পাওয়া বিজয়ের দাম হাঁকা হয়েছে ২৫ লাখ টাকা! ৩০ মণ ওজনের বিজয়কে পেতে ইতোমধ্যেই ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম হেঁকেছেন ক্রেতারাও। সবকিছু মিলিয়ে আসন্ন কোরবানিতে বাজিমাতের অপেক্ষায় আছে বিজয়।
আর চট্টগ্রামের বায়েজীদ থানার পাশের কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকার এ বিশাল আকারের গরুটি লালন-পালন করছেন আজিজ নামের এক ব্যক্তি।
গরুর মালিক আজিজ বলেন, প্রায় সাড়ে তিনবছর ধরে বিজয়কে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করছি। নিজের থাকার জায়গা না থাকলেও টানা-হেঁচড়া করে অনেক কষ্টে গরুটিকে লালন-পালন করছি। প্রতিদিন, ভুসি, ছন, ভুট্টা, মসুরডালের ভুসি, কলা, ডাব, আপেল ও কাঁচা ঘাস খাওয়াতে হয়। এতে করে বিজয়ের জন্য প্রতিদিন খরচ হয় ১২০০ টাকা।
আজিজ বলেন, অনেক কষ্ট করে লালন-পালন করলেও আসছে কোরবানি ঈদে বিজয়কে বিক্রি করে দিব।
গরুটির ওজন প্রায় ৩০ মন দাবি করে আজিজ দাম হাঁকাচ্ছেন ২৫ লাখ টাকা। তবে এ পর্যন্ত কয়েকজন ক্রেতা এসে ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা বলে গেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজিজের স্ত্রী হামিদা বেগম বলেন, এটা আমার শখের জিনিস। দিনে চারবার গোসল করাতে হয়। এর মধ্যে একবার শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করানো হয়। এবার চিন্তা করছি বিক্রি করে দিব।
চট্টগ্রামের বায়েজীদ থানার পাশের কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকার আজিজের বাড়িতে বিজয়কে দেখতে আসেন আশে-পাশের মানুষ।
এরকম একজন দর্শনার্থী আহমদ উল্লাহ বলেন, গরুটির কথা শুনে দেখতে এসেছি। এসে অনেক ভালো লাগছে। গরুটি অনেক সুন্দর।
পি
মন্তব্য করুন