তিন দিন ধরে চলছে শ্রমিক ধর্মঘট, যাত্রী ভোগান্তি চরমে
বাস মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে মেহেরপুরে তৃতীয় দিনের মতো বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে কোনও বাস ছেড়ে যায়নি। শনিবার সকাল থেকে আন্ত:জেলা সকল সড়ক যোগাযোগও বন্ধ রয়েছে।
মেহেরপুর-কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর-চুয়াডঙ্গা, মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কে সকল প্রকার লোকাল বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। আঞ্চলিক এ মহাসড়কে এখন যাত্রীদের একমাত্র ভরসা শ্যালো ইঞ্জিনচালিত অবৈধ যানবাহন।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, মেহেরপুর থেকে আশেপাশের জেলায় অনেকেই চাকরি করেন। আবার কুষ্টিয়া ও রাজশাহীতে চিকিৎসার জন্য প্রতিদিনই অনেক মানুষ যান। তিন দিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন এসব মানুষ।
মেহেরপুর মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আন্তঃজেলার সকল রুটে টানা ৩৬ দিন বাস চলাচলের পর ৪৬ দিন বাস বন্ধ রাখতে হয়। এ সময় কোনও কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করতে হয় শ্রমিকদের। বন্ধের সময়সীমা কমাতে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে প্রতিটি বাস দুবার চলাচলের পরিবর্তে একবার চালানোর দাবি তাদের। মালিকপক্ষ দাবি না মানায় বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকরা।
এদিকে শ্রমিক ধর্মঘট নিয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে জেলা বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ তাদের কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
সেখানে জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল বলেন, শ্রমিকদের এ দাবি আগেও মানা হয়েছিল। পরবর্তীতে শ্রমিকরাই তা পরিবর্তন করেছে। মালিকদের সঙ্গে না বসেই শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিক প্রতিনিধিরা আমাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনও আলোচনা করেনি। তাদের নেতৃবৃন্দ যদি আলোচনা করতেন তাহলে এটা নিয়ে আলোচনা হতে পারতো। এভাবে যাত্রীদের জিম্মি করে দাবি আদায় করা যাবে না। শ্রমিকরা বাস না চালালে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আভাস দেন মালিকপক্ষের লোকজন। তবে উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করছে পুলিশ।
মেহেরপুর থানার পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, যেকোনো সময় বৈঠক হতে পারে উভয়পক্ষের সঙ্গে।
জেবি
মন্তব্য করুন