• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

গাইবান্ধায় ১৬৫ চর প্লাবিত, পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

  ১৩ জুলাই ২০১৯, ১০:৫৮
গাইবান্ধা

গেল কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে ১৮ ইউনিয়নের তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার ১৬৫ ছোট-বড় চর প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। পানির প্রবল স্রোতে নদ-নদীর তীরে দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাঙন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গেল ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ২৭ সেন্টিমিটার বেড়ে গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ৫০ সেন্টিমিটার বেড়ে গাইবান্ধা শহর পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়া তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এসব চরের মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্র বা নিরাপদ উঁচু স্থানে সরিয়ে নেয়া হবে।

এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনা নদীবেষ্টিত সুন্দরগঞ্জের তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, কাপাসিয়া, শ্রীপুর, সদর উপজেলার মোল্লারচর, কামারজানী, ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া, উদাখালী, এরেন্ডাবাড়ী, ফজলুপুর, গজারিয়া, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী, সাঘাটা, হলদিয়া, জুমারবাড়ী ইউনিয়নের ১৬৫টি চর প্লাবিত হয়েছে। এসব চরের ৭০ ভাগ বাড়িঘরে পানি উঠায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মানুষগুলো।

অপরদিকে নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধির ফলে নদী তীরের চরাঞ্চল ও মূলভূখণ্ডে দেখা দিয়েছে ভাঙন। সুন্দরগঞ্জের চন্ডিপুরের হরিপুরঘাট, কাপাসিয়ার লালচামার, সদরে কামারজানীর গোঘাট, রায়দাসবাড়ী, ফুলছড়ির এরেন্ডাবাড়ীর জিগাবাড়ী, উড়িয়ার রতনপুর, উদাখালীর সিংড়িয়া, গজারিয়ার কাতলামারী, সাঘাটার ভরতখালীর হাটভরতখালী, হলদিয়া ও জুমারবাড়ীর নলছিয়া এলাকাসহ চরাঞ্চলগুলোতে দেখা দিয়েছে ব্যাপক নদী ভাঙন।

প্রতিদিনই নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে শতশত ঘরবাড়ি, মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গাছ-পালাসহ ফসলি জমি। নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো আশ্রয় নিচ্ছে অন্যের জায়গা, আত্মীয়ের বাড়ি ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। ভিটেমাটি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এসব নদ-নদীর ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোয় ভাঙনরোধে ৬৫ হাজারের বেশি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন বলেন, বন্যা মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বন্যা মোকাবেলায় সকল ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে পদ্মশ্রী নিলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা  
আমিরাতে বন্যা : ৩ ফিলিপাইন নাগরিকের মৃত্যু
বৃষ্টি-বন্যায় বিপর্যস্ত ওমান-আরব আমিরাত
আরব আমিরাতে ভয়াবহ বন্যা, ঢাকামুখী ৯ ফ্লাইট স্থগিত 
X
Fresh