সুনামগঞ্জে বন্যাকবলিত এলাকায় পানি ও ত্রাণের জন্য হাহাকার
সুরমা নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার কমলেও এখনও বিপদসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার সকাল নয়টার দিকে পানি কমতে শুরু করলেও বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি ও ত্রাণের জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে।
গতকাল সকালে সুরমা নদীর পানি ষোলঘর পয়েন্টে ৯৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও রাতের দিকে পানি কমতে শুরু করে।
এদিকে জেলার তাহিরপুরের পর্যটন স্পটে ঘুরতে এসে বন্যার কবলে পড়েছেন শত শত পর্যটক। তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওর, নিলাদ্রী লেক, ট্যাকেরঘাটসহ পর্যটন স্পটগুলো না ঘুরেই ফিরতে হচ্ছে পর্যটকদের। এদিকে বৃষ্টিপাত ও ঢলের পানিতে প্লাবিত হওয়া জেলা সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার ও জামালগঞ্জ উপজেলায় মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। পানিবন্দি এসব মানুষ বিশুদ্ধ খাবার পানি ও ত্রাণের জন্য হাহাকার করছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, স্থানীয় পর্যায়ে উদ্ধার টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে অবস্থান করা এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খোলা রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, নির্বাহী প্রকৌশলীকে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপকরণ সরবরাহের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন