‘প্রতি বছরেই একই দুর্ভোগ, আমরা ক্লান্ত’
একটু জরে বৃষ্টি হলেই চট্টগ্রাম শহর পানির নিচে যায়। প্রত্যেক বছরে বর্ষায় সময় আসলেই এই দুর্ভোগে পড়তে হয়। আমরা আসলে ক্লান্ত এই বিষয়ে কথা বলতে বলতে। এখন রাগও হয় না। আসলে বলে লাভ হয় না। বুঝে গেছি এমন দুর্ভোগ অবধারিত।
এমনটাই রাগান্বিত কন্ঠে জানাচ্ছিলেন নগরীর মুরাদপুরের বাসিন্দা নোমান সিদ্দিক।
শনিবার গভীর রাত থেকে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি। গেল পাঁচদিনে মোট ২৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। শুধু সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টাতে রেকর্ড করা হয়েছে ১৩৬ দশমিক দুই মিলিমিটার বৃষ্টিপাত।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর ওয়াসা মোড়, অক্সিজেন, মুরাদপুর, ষোলশহর, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, বাদুরতলা, প্রবর্তক মোড়, দুই নম্বর গেট, পাহাড়তলি রোড, বাকলিয়া, অলঙ্কার, চকবাজার, মেহেদীবাগসহ বিভিন্ন এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। বিভিন্ন গলিতে পানি জমে যায়। অনেক এলাকায় কোমর সমান পানিও দেখা গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগে এখন চরমে।
এদিকে সকাল থেকে বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে অতিরিক্ত ভাড়া গুনে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে মানুষদের। পানিতে সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহন নষ্ট হয়ে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে চালকদেরও।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ প্রদীপকান্তি নাথ আরটিভি অনলাইনকে জানান, ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাহাড়ে ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
অপরদিকে, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত লোকজনকে সরে যেতে বলেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এছাড়াও নগরীতে আটটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে ধারণা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
এসএস
মন্তব্য করুন