এবার নারায়ণগঞ্জে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা
বরগুনায় রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ ও বন্দরে দুই ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে গ্রেপ্তার করলেও মূল আসামীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। তবে পুলিশ বলছে ঘটনায় মামলা হয়েছে আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।
গতকাল শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে বন্দর উপজেলার বক্তার কান্দি এলাকায় শাহীন মিয়া তার স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা উত্ত্যক্ত করে। এসময় শাহীন মিয়া প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপার বন্দর থানায় মামলা হয়েছে।
অপরদিকে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সিরাজুল হক ভূঁইয়ার বড় ছেলে ব্যবসায়ী রাসেল ভূঁইয়া তার পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে রাইসা ও চার বছর বয়সী ভাতিজা সানজিদকে নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তার ব্যস্ততম এলাকায় আইয়ুব প্লাজায় অবস্থিত এনএফসি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে খেতে যান। এসময় ১০-১২ জন সন্ত্রাসী অস্ত্র নিয়ে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে। এসময় সন্ত্রাসীরা রাইসা ও সানজিদাকে অপহরণের চেষ্টা করে। এত বাধা দিলে তারা রাসেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারিভাবে কোপাতে থাকে। রাসেল চিৎকার করলে হামলাকারী বীরদর্পে পালিয়ে যায়।
আহত রাসেল ভূঁইয়াকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ত্রাসী বিশাল, রাসেল ও আরাফাত নেতৃত্বে ছয় সাতজন মিলে এই হামলা চালানো হয় বলে জানা যায়।
রাসেল ভূঁইয়া বর্তমানে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এখনো তার জ্ঞান ফিরেনি। আহতের স্ত্রী ও মা এই হত্যা চেষ্টার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ জানান, সোনারগাঁয়ে অপহরণের চেষ্টায় যে ঘটনা ঘটেছে সে ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আর বন্দরের ঘটনা হচ্ছে আসামীরা নারী নির্যাতনের দুইটি মামলায় জেল হাজতে ছিল। জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে এ ঘটনা ঘটায়। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। একজন গ্রেপ্তার আছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
এসএস
মন্তব্য করুন