জ্বিন তাড়ানোর নামে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা
টাঙ্গাইলের সখীপুরে জ্বিন তাড়ানোর কথা বলে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১০) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক মুয়াজ্জিনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মুয়াজ্জিনের নাম রুহুল আমিন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, এই ঘটনায় সোমবার বিকেলে সখীপুর থানায় অভিযুক্ত মুয়াজ্জিন রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর মা নিজে বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। রুহুল আমিন উপজেলার কুতুবপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলা সদরে।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাড়িতে আসেন। এসেই ওই মেয়েটিকে জ্বিনে ধরেছে বলে মেয়েটির পরিবারকে জানান এবং তাকে ‘ঝাড়-ফুঁক’ দিয়ে জ্বিন তাড়াতে হবে বলে আলাদা একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এসময় মেয়েটির চিৎকারে বাড়ির লোকজন এবং স্থানীয়রা এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন এবং মেয়েটির কাছে সব শুনে মুয়াজ্জিন রুহুল আমীনকে গণপিটুনি দিয়ে বেঁধে রাখেন।
তবে, সাবেক এক ইউপি সদস্য এবং মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল আবদুল আলীমের সহযোগিতায় মুয়াজ্জিন পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এমনকি পরবর্তীতে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ারও চেষ্টা চালান তারা।
এ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগীর মা বলেন, আমার স্বামী বিদেশ থাকেন তাই এই ঘটনা নিয়ে আমি অনেক চিন্তায় পড়ে যাই। এছাড়াও এলাকার গণ্যমান্যরা আমাকে নানা ধরনের প্যাঁচে ফেলার চেষ্টা করছিলেন, ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তাই মামলা দায়ের করতে এতো দেরি হলো।
আমার মেয়েটি স্থানীয় মাতব্বরদের জন্য স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে। আমি এই অমানবিক ঘটনার বিচার চাই, যোগ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে সখীপুর থানার ওসি আমির হোসেন বলেন, মামলা নেওয়া হয়েছে।অভিযুক্ত মুয়াজ্জিন রুহুল আমীনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জেবি
মন্তব্য করুন