• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দেশে ট্রাকে ট্রাকে ঢুকছে ভারতের চাল

হিলি প্রতিনিধি

  ২৩ মে ২০১৯, ০৮:১৯

খাদ্য শস্যের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তরের জনপদ দিনাজপুর। আর হিলিসহ এই জেলা প্রতিটি উপজেলায় এখন চলছে বোরো ধান কাটাই-মাড়াইয়ের কাজ। ফলন ভালো হলেও ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় উৎপাদন খরচ উঠবে কি না এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। আর এই ফাঁকে লাভবান হওয়ায় জন্য ভারত থেকে চাল আমদানি করছেন দেশের কিছু আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা।

বিদেশ থেকে চাল দেশে আমদানি করায় এক প্রকার ক্ষতি মুখে পড়তে হচ্ছে দেশের কৃষকদেরকে। এতে করে আমদানিকারক ও ভারতের কৃষকরা লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের কৃষক পরিবারগুলো। দেশে ধানের প্রচুর উৎপাদন হওয়ায় স্বত্বতেও দেশে যখন বিদেশ থেকে ট্রাকে ট্রাকে ঢুকছে চাল ঠিক তখনই এক শ্রেণি মিল-মালিকদের যোগসাজশে কম দামে বিক্রি হচ্ছে ধান।

হিলি স্থলবন্দরের রিত্তিক এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ও চাল আমদানিকারক অভিনাস মোড় জানান, আমরা ভারত থেকে চাল আমদানি করছি। দেশের বাজারে আমদানি করা চালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে সম্পা কাটারি ও আতব জাতের চালে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমরা মূলত ভারত থেকে ৩৯০ থেকে ৪শ’ ডলার দিয়ে চাল আমদানি করে থাকি। আর সরকারকে ট্যাক্স ও ভ্যাট দিয়ে বাজারে এই চাল বিক্রি করছি ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা দরে।

ধানের দাম কম কেন- হিলি ধানের আড়ৎদার মামিদুল ইসলামকে এমন প্রশ্ন করলে তিনি জানান, দেশে বর্তমানে প্রচুর চাল আমদানি হচ্ছে। যে কারণে মিল মালিকরা ধান কিনতে চাচ্ছে না। টুকটাক যে ধান কিনছি তা ভালো দামেই কিনছি আমরা। যদি মিল মালিকরা ধান নিতো তাহলে একটু হলেও দাম পেত কৃষকরা।

হিলির প্রান্তিক কৃষক সাফিয়ার রহমান জানান, দেশে ধানের যে উৎপাদন হয়েছে সেগুলো দিয়ে একপ্রকার দেশের চাহিদা মিটতো। বিদেশ থেকে চাল আমদানি হওয়াতেই আমরা ধানের দাম কম। সরকারের কাছে অনুরোধ চাল আমদানি বন্ধ করে দেশের কৃষকরে কাছ থেকে ধান ক্রয় করা। আমি গতকাল মোটা জাতের ১০ মণ ধান ৪শ’ টাকা মণ দরে বাজারে বিক্রি করেছি।

হিলি কাস্টমসের রাজ্বস কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ১১ হাজার ৮৬৮ মেট্রিক টন, ফেব্রুয়ারি মাসে ৭ হাজার ৯৬৫ মেট্রিক টন, মার্চ মাসে ৯ হাজার ৬৯৭ মেট্রিক টন এবং এপ্রিল মাসে ৮ হাজার ২১২ মেট্রিক টন চাল ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। শুধু চলতি মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৬ হাজার ৩৪৪ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাফিউল আলম জানান, আমরা ইতোমধ্যে ধান ও চাল ক্রয় সংগ্রহের উদ্বোধন করেছি। এবার আমাদের উপজেলায় সরকার ২১৫ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করবে। আমাদের খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তার কাছে ১৪ হাজার কৃষকরে একটি তালিকা রয়েছে। আমরা তাদের থেকে সরকারি দামে ধান কিনবো।

তিনি আরও জানান, আমরা স্থানীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কৃষকদের মধ্যে যাদের জমি ১ একরের কম তাদের নাম দিয়ে লটারি মাধ্যমে ধান ক্রয় করা হবে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাজধানীতে গ্রেপ্তার ২৭
‘মানুষ এখন ডাল-ভাত নয়, মাছ-মাংস নিয়ে চিন্তা করে’
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কেনিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ৯
সড়কে শৃঙ্খলা জোরদারে বিআরটিএ’র নতুন সিদ্ধান্ত
X
Fresh