• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

টেকনাফে ভূমিদস্যুদের হাত থেকে ৫০ একর বনভূমি উদ্ধার

শাহীন শাহ, টেকনাফ

  ১৭ মে ২০১৯, ২৩:২৫
সর্বশেষ ১১ মে অভিযান চালিয়ে চারটি বাড়ি উচ্ছেদ করা হয়, ছবি: আরটিভি অনলাইন

কক্সবাজারের টেকনাফে দীর্ঘদিন ধরে বেদখল হওয়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ৫০ একর বনভূমি অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। গত তিন মাসে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে টেকনাফের হোয়াইক্যং বিটের আওতাধীন এই জমি উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ ১১ মে অভিযান চালিয়ে চারটি বাড়ি উচ্ছেদ করা হয়। এ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখার কথাও জানিয়েছে বনবিভাগ।

বন বিভাগের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং বিট কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান আরটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বনবিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টেকনাফের হোয়াইক্যং বিটের আওতাধীন হোয়াইক্যং শামলাপুর সড়ক লাগোয়া ঢালারমুখ এলাকার ২০০৬-০৭ সনের সামাজিক বনায়নের ছাপ্পান্ন ক্রমিকের উপকারভোগী মইপু চাকমার কাছ থেকে অবৈধভাবে কিনে নেয় মৃত আব্দুস শুক্কুরের ছেলে আব্দুল গফুর ও তার ছেলে মো. শাহাজাহান। তারা বাহারছড়া শামলাপুর আচারবনিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা। বাবা-ছেলে মিলে ৫০ একর সংরক্ষিত বনভূমি বাফার জোনবাগান ধ্বংস করে অবৈধভাবে দখল করে রাখে। পাশাপাশি পাহাড় কেটে কয়েক শতক ধানি জমি সৃষ্টি করে করা হয় বিভিন্ন প্রকল্প। সেই সাথে পানি ও হাতি চলাচলের স্বাভাবিক পথ নষ্ট করে তারা। বিগত তিন থেকে চার জন বিট কর্মকর্তা ও স্টাফদের ম্যানেজ করে এসব করা হয়।

বনবিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়, ওই বাবা-ছেলের জবরদখল করা ৫০ একর জমি চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের কাছে ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয়। তারা এ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের বেতনভাতা নিয়ে জমিটি দেখভাল অব্যাহত রাখে। এসব কাহিনী নতুন যোগদান করা বিট কর্মকর্তার কাছে পৌঁছালে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির, এসিএফ সোহেল রানার নির্দেশে অভিযানে নামে হোয়াইক্যং বিট অফিস।

এ অভিযান বাধাগ্রস্ত করতে আব্দুল গফুর ও শাহাজাহান চট্টগ্রামের জনৈক এক মেজরকে দিয়ে ফোন করা হয় বলে জানিয়েছেন হোয়াইক্যং বিট কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান। পাশাপাশি বিট অফিস ম্যানেজ করতে ২ থেকে ৩ লাখ টাকার উৎকোচ দেওয়ার চেষ্টা করে তারা।

তিনি আরো জানান, এ অভিযানকে বাধাগ্রস্ত করতে নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নেয় এই বনখেকোরা। নানাভাবে হুমকি-ধমকি অব্যাহত রাখে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। যার জিডি নম্বর ৫৪৮/১৯।

বিট অফিস সূত্রে জানা গেছে, বেদখল হওয়া জমিটি উদ্ধার করে সুফল বনায়নের নার্সারি করার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এ নার্সারির চারা থেকে ১৫৫ একর বনায়নের উদ্যোগ নেয় বন বিভাগ। চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি নয়টি বাড়ি, ৯ মে ও ১১ মে চারটি করে বাড়ি উচ্ছেদ করা হয়।

এ ব্যাপারে সৈয়দ আশিক রহমান বলেন, ইতোপূর্বে যারা দায়িত্ব পালন করে গেছেন তাদের অবহেলার কারণে আজকে সামাজিক বনায়ন ও সংরক্ষিত বনাঞ্চলের এ বেহাল অবস্থা। তবে অবৈধ জবরদখলকারীদের ছাড় নেই। সে যত বড় রাঘব-বোয়াল হোক না কেন উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh