নার্স শাহিনুর ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছেন নুর
নার্স শাহিনুর বেগমকে ধর্ষণ করে বাস থেকে ফেলে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন চালক নুরুজ্জামান নুর। ধর্ষণ ও হত্যায় অংশ নেন নুরুজ্জামান, তার সহকারী লালন, আল আমিনসহ কয়েকজন।
ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে গতকাল শনিবার রাতে আদালতে ১৬৪ ধারায় এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন নুরুজ্জামান নুর।
স্বীকারোক্তি রেকর্ড করেন কিশোরগঞ্জ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুন। আট দিনের রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদের চতুর্থ দিনে জবানবন্দি দিলেন নুরুজ্জামান।
আজ রোববার বিকেলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ। এসময় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঘটনার দিন ভৈরব-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের বাজিতপুরের বিলপাড় গজারিয়া এলাকার একটি কলাবাগানে শাহিনুরকে তারা তিনজন ধর্ষণ করেন।
নুরুজ্জামানের স্বীকারোক্তির সূত্র ধরে ডিআইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ধর্ষণ ও হত্যায় অংশ নেন নুরুজ্জামান, লালন, আল আমিনসহ কয়েকজন। শাহিনুর হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আল আমিন পলাতক। ঘটনার দিন তিনিই শাহিনুরকে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে পালিয়ে যান। জবানবন্দিতে উল্লেখ করা হয়, দায় এড়াতে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাৎক্ষণিক কৌশল আঁটেন।
কৌশল হিসেবে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডকে দুর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দিতে শাহিনুরকে ফের বাসে তোলা হয় এবং পরে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলা দেওয়া হয়। আবার তারাই সড়ক থেকে তুলে এনে চিকিৎসা করানোর জন্য এখানে-সেখানে নিয়ে যান। শেষে নিয়ে যান কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
ডিআইজি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালত তাদের আট দিন রিমান্ড দিয়েছেন। বাজিতপুর থানায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত সোমবার রাত ১১টার দিকে পুলিশ কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শাহিনুরের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় চালক নুরুজ্জামান নুর, তার সহকারী লালন মিয়াসহ গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ভেঙ্গরদি গ্রামের আল আমিন, লোহাদি গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও কটিয়াদীর ভোগপাড়া গ্রামের খোকন মিয়াকে। আদালতের নির্দেশে তারা আট দিনের রিমান্ডে আছেন।
এমকে
মন্তব্য করুন