• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

ভৈরবে অসহনীয় লোডশেডিং জনদুর্ভোগ চরমে

লোডশেডিংয়ে ব্যবসায়ীদের দৈনিক ১০ কোটি টাকার লোকসানের অভিযোগ

মো. আল আমিন টিটু, ভৈরব

  ১২ মে ২০১৯, ১০:৪৯
ফাইল ছবি

ভৈরবে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি বা অসহনীয় মাত্রায় লোডশেডিং চলছে। রমজানের শুরু থেকেই এই লোডশেডিংয়ের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ইফতার কিংবা সেহরি খাওয়ার সময়, ফজর কিংবা তারাবী নামাযের সময় বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। শুধু তাই নয়, প্রচণ্ড গরমে যখন মানুষজন অতিষ্ঠ। বিদ্যুতের এমন ঘন ঘন লোডশেডিংএর কারণে দিনভর রোজা রেখে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না তারা। ফলে জনদুর্ভোগ চরমে ওঠেছে।

এদিকে গেল এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যুতের এমন অসহনীয় লোডশেডিং নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তীব্র ক্ষোভের ঝড় ওঠেছে। একইসঙ্গে দ্রুত এই সমস্যা সমাধান না হলে যেকোনো সময় আন্দোলনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করার হুমকি দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, উপজেলার শিমুলকান্দি, আগানগর, গজারিয়া ইউনিয়নসহ ভৈরবে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে ছোট-বড় মিল ও কল-কারখানার প্রায় তিন হাজার বাণিজ্যিক গ্রাহক রয়েছে। ফলে প্রতিদিন ভৈরবে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু, গড়ে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছে না গ্রাহকরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ভৈরবে বিদ্যুৎ সরবরাহের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাওয়ার ট্রান্সফরমারটি বেশ পুরনো হয়ে পড়েছে। ফলে বার বার ট্রান্সফরমারটিতে ত্রুটি দেখা দেয়। একই কারণে মেঘনার নদীর উপর দিয়ে রেলসেতুর সঙ্গে আসা ৩৩ হাজার কেভি ভোল্টের ক্যাবলটি লোড নিতে পারছে না। প্রায়ই আগুন ধরে যায়। এই দুই কারণে ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। যদিও বার বার মেরামতের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করছে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন।

এদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে শহরের ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন মিল, কল-কারখানার মটর, বাসা-বাড়ির ফ্রিজ, এসি ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ঘন ঘন নষ্ট হচ্ছে। ফলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে গ্রাহকরা।

অন্যদিকে ভয়াবহ গরমে মোমবাতির আলোতে পড়ালেখা করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ফলে সীমাহীন দুর্ভোগ থেকে রেহাই পায়নি তারাও। আর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জেনারেটরটি বিকল থাকায় ভর্তি রোগীরা প্রচণ্ড গরমে ছটফট করছে। তাই, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও ভুক্তভোগীরা দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে সংসদ সদস্য ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। একইসঙ্গে খনিজ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের সু-দৃষ্টি কামনাও করছেন তারা।

এ প্রসঙ্গে ভৈরব চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র বিন্দু এই শহরে দিনে কিংবা রাতের অধিকাংশ সময় বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে। ফলে ব্যবসায়ীদের প্রতিদিন অন্তত ১০ কোটি টাকার লোকসান গুণতে হচ্ছে।

বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং প্রসঙ্গে ভৈরব বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুতের চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া আশুগঞ্জ থেকে ভৈরবে বিদ্যুৎ সরবরাহের পাওয়ার ট্রান্সফরমারটিতে যতবার ত্রুটি দেখা দিচ্ছে, ততবারই আমরা মেরামতের মাধ্যমে স্বাভাবিক বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করছি। আশা করছি অচিরেই এই সমস্যার সমাধান হবে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
তারাবিহ ও সেহরিতে লোডশেডিং হবে না : প্রধানমন্ত্রী
শনিবার সিলেটের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না
সারাদেশে ৭০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং
এলএনজি সরবরাহে বিঘ্ন, হতে পারে লোডশেডিং
X
Fresh